ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারন করা, করোনাভাইরাস মানুষের জীবন কে মহাসংকটের মুখে ফেলে দিয়েছে। বিশেষ করে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে নেমে এসেছে অবর্ণনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা।
সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েই সমগ্র দেশে লক ডাউন ঘোষণা করেছে। এমন অবস্থায় যারা খেটে খাওয়া মানুষ, দিন মজুর তাদের অবস্থাটা কি? কেউ কি ভেবে দেখেছি একটু ? আজ তারা খুব দুশ্চিন্তায় দিন পার করছে,কি করে চলবে সংসার, এক দিকে লক ডাউন, অন্যদিকে পেট চালানোর চিন্তা, পেটকে তো আর লক ডাউন করা যায় না।
এই খেটে খাওয়া ও হতদরিদ্র পরিবারের কথা চিন্তা করেই তাদের মাঝে মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মঙ্গলবার (৭ই এপ্রিল) সকাল ৯ টার দিকে ঐতিহ্যবাহী শ্যামকুড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে, গ্রামের বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া,মহল্লার ছিন্নমূল,কর্মহীন ৪৪০ টি অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ৮ কেজি চাল , ২ কেজি আলু, ১কেজি ডাল, লবন, সাবান বিতরণ করা হয়।
যার আর্থিক অনুদানের উপর ভর করে আমাদের পরিবার (শ্যামকুড়) আজ অসহায় ছিন্নমূল, গরিব-দুঃখীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা সহজবোধ্য হলো। তিনি হলেন শ্যামকুড় গ্রামের কৃতি সন্তান মোঃ শহিদুল ইসলাম মাষ্টারের বড় ছেলে মোঃ হুমায়ূন কবির (বাবু) বতর্মানে তিনি বেলজিয়াম প্রবাসী। ছোট বেলা থেকেই সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও আর্থিক অনুদানের কারণে তার নামটা সমস্ত গ্রাম জুড়ে সমাদৃত ছিল। আজ নতুন করে আবার ও প্রমাণ করলেন মাতৃভূমি ও মাতৃভূমির মানুষগুলোর প্রতি কি দারুণ আবেগ,অনুভুতি রয়ে গেছে তার হৃদয় কোণে।
এই ধরার বুকে এ যেন আন্য এক অনুভূতির নাম আমাদের পরিবার (শ্যামকুড়)। গ্রামের ঐতিহ্য এখন শেষ হেয়ে যাইনি, বিপদে কালে গ্রামবাসী, সকলে যে সকলের জন্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, অভিভাবক, গুরুজন, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ থেকে শুরু করে কাছে,দূরে যে যেখানেই অবস্থান করছে, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে হৃদয় উজার করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে একটু কার্পন্য করে নাই। করবেই বা কেন? নাড়ির টানে আমারা সবাই যে এক সুতায় গাঁথা। এরই নাম শস্য শ্যামলে ভরা ঐতিহ্যবাহী আমাদের পরিবার (শ্যামকুড়)।
সিনিয়র ও জুনিয়রের দারুণ এক সমন্বয়ে,আমাদের পরিবার শ্যামকুড়ের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন (২০০৫ )ব্যাচের আল ইমরান। তার সাথে সার্বক্ষণিক কর্মপরিকল্পনা ও সহযোগিতা করছেন তারা হলেন,
আলি ইজাজ তাজ,আতাউল ইসলাম, শামীম হোসেন,সুমন হোসেন,পলাশ খন্দকার,টিপু সুলতান,বাবুল হোসেন,ইব্রাহিম বাবু,শহিদুল ইসলাম,মারুফ হোসেন,উজ্জ্বল হোসেন,শরিয়ত উল্লাহ ভুলোন,
আজিবর রহমান,
ইনামুল হোসেন,সাইফুল ইসলাম,রাজু আহমেদ, বাদশা আলমগীর, জুয়েল রানা প্রমুখ।
স্বেচ্ছাসেবক ও ভলেন্টিয়ার হিসেবে একঝাক তারুণ্য নির্ভর যুবক দল সার্বক্ষণিক নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন বিভিন্ন কাজে।
লকডাউন সময় বাড়ছে। দৈনিক আয়ের পরিবারগুলোতে আর্তনাদ ক্রমশেয় বড়েই চলেছে , নীরব সে আর্তনাদ ! কেউ শুনছে,কেউ এড়িয়ে যাচ্ছে।এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টি সর্বদা অসহায়দের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আমাদের পরিবার শ্যামকুড়ের এধরনের উদ্যোগ ও সেবা সামনের দিনে আরও এগিয়ে নিতে বা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা ও দোয়া প্রার্থনা কামনা করেন।
শ্যামকুড় পরিবারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান সংগঠনের সমন্বায়ক ও সহযোগী বৃন্দ।
অনেক দিন-মজুর, অসহায় পরিবার খাদ্য সামগ্রী হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে কেঁদে ফেলেন। সে সময় সৃষ্টি হয় মানবতার এক বিশাল মেলবন্ধন।
Leave a Reply