আজ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন প্রাইভেট পরিচালক পাইলট-দৈনিক বাংলার নিউজ

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃশিবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর বাজারে অবস্থিত সুপরিচিত ইংরেজি প্রাইভেট সেন্টার “ইংলিশ লার্নিং একাডেমি” এর পরিচালক মোঃ মাসুদ রানা পাইলট।খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনাল এ তার বিরুদ্ধে আনিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় অভিযোগের সত্যতা না থাকায় বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক জনাবা কণিকা বিশ্বাষ ২৬/১০/২২ মামলাটিকে খারিজ করে দেন।

প্রায় তিন মাস পূর্বে ২৬/০৭/২০২২ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালে
সম্পুর্ন ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন মাহবুবুর রহমান সিরাজ নামে তারই এক ক্লাশমেট। মাহবুবুর রহমান সিরাজ শিবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর ত্রিমোহনি পাড়া গ্রামের মুখলেশের ছেলে যিনি বর্তমানে খুলনার একটি ঔষধ কোম্পানিতে কর্মরত আছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায় ১২ ই মে ২০২২ প্রাইমারি লিখিত পরীক্ষার ১ম ধাপের রেজাল্ট প্রকাশিত হয়।সেই ধাপের পরীক্ষার্থী ছিল মাহবুব।তিনি লিখিত পরীক্ষায় উত্তির্ণ না হয়েই প্রতারনার আশ্রয় নেয় এবং এলাকায় ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের বলেন যে তিনি লিখিত পরীক্ষায় উত্তির্ণ হয়েছেন। কিন্তু১৫/০৭/২০২২ তারিখে মাহফুজা রাইহান নামের একটি আইডি তার এই গোপন প্রতারনা ফেসবুকে প্রচার করে দেয়।এতে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতারক মাহবুর এই আইডিটি প্রাইভেট পরিচালক পাইলট এর বলে দাবি করে এবং তার উপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে চাঁদাবাজি এবং মানহানির মামলা করেন।

এই বিষয় টি নিয়ে এলাকাই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে

এই বিষয়ে মাসুদ রানা পাইলট বলেন, “মাহবুব আমার ক্লাশমেট ছিল।তাকে ছোট থেকেই আমি এবং আমার বন্ধু মহল চিনি ও জানি। তার মাথায় অনেক ক্রিমিনালি বুদ্ধি রয়েছে। কাকে কিভাবে ফাঁসান যায় এই সব চিন্তা ধারা নিয়েই ব্যতিব্যস্ত থাকে সে সবসময়। তাই আমাদের এক বন্ধু তার টাইটেল দিয়েছিল “ক্রিমিনাল মাহবুব”। আমার অনেক বন্ধু এবং সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাকে অনুরোধ করেছিল এই মিথ্যে মামলাটি উঠিয়ে নেওয়ার জন্য কিন্তু তিনি সবার অনুরোধ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমাকে হয়রানি করতে চেয়েছিল এবং আমার সুনাম নষ্ট করতে চেয়েছিল।কিন্তু মহান আল্লাহর রহমতে ব্যর্থ হয়েছে। তার আসল রুপ লোক সমাজে উন্মোচিত হয়েছে।মহান আল্লাহ যেন তাকে ভাল বুদ্ধি দান করেন এই কামনা করি।”

এই বিষয়ে এলাকার দুই মাতব্বর আবুল কাশেম এবং নুরুল ইসলাম মাষ্টার বলেন, “পাইলট সহজ সরল এবং ভদ্র ছেলে। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল।সে এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে শুনে আমরা খুবই খুশি হয়েছি। আমরা মাহবুব কে এবং তার বাপকে খুবই অনুরোধ করেছিলাম এই মিথ্যে মামলা টি উঠিয়ে নেওয়ার জন্য কিন্তু আমাদের কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছিল এই মাহবুব। আজ তার আসল চরিত্র লোক সমাজের কাছে প্রকাশ পেলো”

পাশের গ্রামের জেম মাষ্টার নামোক এক ব্যক্তি মাহবুব সম্পর্কে বলেন, “নিজেই প্রতারনা করে অপরজনের বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা!! এই সব লজ্জাহিনতা ছাড়া আর কিছুই না।”

গ্রামের আরেক ব্যক্তি শফিকুল ইসলাম বলেন, “আমি মনে করি এই(মাহবুব) ছেলের নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ। বেশ কিছুদিন আগে এই ছেলের এক মেয়ের সাথে অবৈধ্য প্রেমের কথোপকথোন ফাঁস হয়।এই রেকর্ড টি আমি নিজে কানে শুনি।রেকর্ডে এই ছেলের যে জঘন্য নোংরা ভাষা শুনা যাই তা একজন শিক্ষিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে মানানসই না”

এই ক্ষোভ দেখা গিয়েছে ইংলিশ লার্নিং একাডেমী এর ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ও।দ্বাদশ শ্রেনির শিক্ষার্থীবৃন্দ
শামিম,শিমুল,সুমন,নাইম ডলি এবং শামিমা সহ অনেকেই বলেন “আমাদের স্যারের মত একজন নিষ্ঠাবান এবং নিরপরাধী ব্যক্তি কে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর তিব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।এবং স্যার কে অনুরোধ করবো এই প্রতারক মাহবুরের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য। যেন পরবর্তিতে এই প্রতারক কোন নিরাপরাধ ব্যক্তি কে এইভাবে হয়রানি করতে না পারে।”

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ