আজ ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মসজিদ কমিটির সভাপতি শাহাব উদ্দিন প্রতারণা করে চার মাসে দুই বিয়ে অবশেষে তালাক-দৈনিক বাংলার নিউজ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :বাহাউদ্দীন তালুকদার
রাজধানীর মিরপুরের ছোট দিয়া বাড়ি বায়তুল আমান জামে মসজিদের সভাপতি ও বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলহাজ্ব মোঃ শাহাব উদ্দিন মোল্লার প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে বিভিন্ন মেয়েদের কে জমি সংক্রান্ত লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করে চার মাসে দুই বিয়ে অবশেষে দুই স্ত্রীকেই তালাক দিয়েছেন। তিনি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার লাখিরপাড় গ্রামের মৃত সব্দর আলীর ছেলে আলহাজ্ব মোঃ শাহাব উদ্দিন মোল্লা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিরপুর দারুসসালাম থানা এলাকা ছোট দিয়া বাড়ি ৫ তলা বিশিষ্ট বাড়ি, জোহরা বাদ এলাকায় ৬ শতাংশ যায়গার উপর নির্মিত টিন শেড বাড়ি ও ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা এলাকায় সারে আট শতাংশ জমি সহ একাধিক প্লট রয়েছে। তিনার এ জায়গা গুলি নামে ও বে নামে রয়েছে। প্রথম স্ত্রীর ঘরে ১ ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। সকলেই বিবাহিত প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন বিয়ের প্রতিযোগিতা শুরু করেন নিজ জন্মভূমি গোপালগঞ্জ কোটালিপাড়ায় সম্পর্কে নাতি সিমা খন্দকার’কে বিয়ে করে মাত্র এক মাসের ভিতরেই তালাক দেন। ঠিক তার এক মাস পর আবার ও বিয়ে করেন ঢাকা জেলা সাভারের মোসাঃ মোরশেদা’কে। প্রতিটি বিয়ে করার সময় স্ত্রীর নামে জমি লিখে দোওয়ার কথা বলে বিয়ে করেন। পরে স্ত্রী জমি লিখে দেওয়ার কথা বল্লে তাকে তালাক দেন এই আলহাজ্ব মোঃ শাহাব উদ্দিন মোল্লা। মোরশেদা চাকরি করতো ইপিজেড বিয়ের আগে চাকরি থেকে অবসরে আসতে বলে আলহাজ্ব শাহব উদ্দিন মোল্লা মোরশেদা সরল মনে চাকরি ছেড়ে বিনিময়ে ৭ লক্ষ টাকা পান এই মোরশেদা বেগম সে রক্ত পানি করা ৭ লক্ষ টাকা ও হাতিয়ে নেন আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন মোল্লা মহিলা নিরুপায় হয়ে দারুসসালাম থানায় একটি অভিযোগ করেন বিষয়টি পুলিশ ক্ষতিয়ে দেখছেন।

এ ব্যাপারে আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন মোল্লার তৃতীয় স্ত্রী মোরশেদা বেগম বলেন, ঘটকের মাধ্যমে পারিবারিক ভাবে আমার স্বামীর সাথে বিবাহ সম্পুর্ন হয়। বিয়ের মজলিসে আমার ননদ আঞ্জু আপা, স্বামীর প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে সবুজ ও সবুজের স্ত্রী, শশুর ও শাশুড়ী সহ একাধিক লোকের সামনে আমার স্বামী শাহাব উদ্দিন মোল্লা বলেন বিয়ের পরে আমাকে হজ্জ করতে নিয়ে যাবে ও ধামরাইয়ে আট শতাংশ জমি আমার নামে লিখে দিবে ও বাসায় হুজুর রেখে আমাকে পড়াবে। কিন্তু বিয়ের পরে এসব কথা বল্লে আমার ও আমার পরিবারের সকলের নাম্বার ব্লক করেন শাহাব উদ্দিন মোল্লা। কিছু দিন পর স্বামীর সাথে যোগাযোগ হলে আমি সাভারের ইপিজেডে চাকরি করা অবস্থায় আমাকে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন শাহাব উদ্দিন মোল্লা। আমাকে একেবারে নিঃস্ব করে তালাক দেন আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন মোল্লা।

এ ব্যাপারে আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন মোল্লার সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করার পরে ফোন রিসিভ করে বলেন আমার ছেলে সবুজ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে এবং সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষে কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পুর্ন বানোয়াট ও মিথ্যা। আপনি কোথায় আছেন আপনার সাথে আমি দেখা করতে চাই।

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com