নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ মোহাম্মদ দেলোয়ার
নোয়াখালীর কবিরহাটের ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের জগদানন্দ গ্রামে বিজয় মেলায় নামে নগ্ন নৃত্য আসর চালানোর অভিযোগ উঠেছে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মুনাফ,পারভেজ ভূঞা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন বাবুলের বিরুদ্ধে।
ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল কোম্পানী এ মেলার উদ্বোধন করে আসার পর থেকেই তার নাম ভাঙিয়ে এবং স্থানীয় প্রশাসনের যোগসাজশে বেসামাল এ নগ্ন নৃত্য চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় সচেতন মহলের।
শুক্রবার দিবাগত রাতে সরজমিনে মুকবুল চৌধুরী হাট বিজয় মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, মেলায় রয়েছে ১৫-২০টি দোকান। মেলার মূল আর্কষণ হল নগ্ন নৃত্যের আসর। রাত ১১টা থেকে উঠতি বয়সী স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী আর গ্রাম্য যুবকদের নগ্ন নৃত্য আসরে উপছে পড়া ভিড়। তবে নগ্ন নৃত্য মঞ্চে মোবাইলে ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ কঠিন ভাবে নিষিদ্ধ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ২২ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত পর্যন্ত মুকবুল চৌধুরী হাট বিজয় মেলার অনুমোদন নেয় মেলা আয়োজক কমিটি। মেলায় তাঁরা যাত্রা পালার অনুমোদন নিলেও অবলিলায় রাতের আঁধারে চলছে উলঙ্গ নৃত্য আর ভ্রাম্যমাণ মাদক কারবারিরা সুযোগ বুজে বেচাকেনা করছে ইয়াবা । এ উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে দৈনিক প্রচারাভিযান অব্যাহত রাখলেও মূলত যাত্রাপালা অনুষ্ঠানের নামে সন্ধ্যার পর থেকেই শুরু করা হয় ‘ভ্যারাইটিজ শো’ নামক রঙিন নৃত্য। এর ফলে এলাকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিতসহ উঠতি বয়সী যুবসমাজ রসাতলে যাওয়ার আশংকায় এলাকার সুশীল সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মেলা আয়োজন কমিটির সদস্য পারভেজ ভূঞা বলেন, প্রত্যেক বছর এখানে মেলা মিলে। এবারও ৫দিনের জন্য মেলার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। যেহেতু মেলা শেষ প্রান্তে তাই দ্রুত মেলা ক্লোজ করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন বাবুলের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মেলা আয়োজন কমিটির সভাপতি আবদুল মান্নান মুনাফ বলেন, খারাপ নাচ,গান হওয়ার সময় আমি ওই খানে ছিলাম না। এমন হওয়ার কথা নয় বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল কোম্পানী বলেন, আমি মেলা পরিচালনার সাথে জড়িত নেই। আমি প্রথম থেকে মেলা আয়োচনের বিপক্ষে ছিলাম না। অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন বলেন, কেউ এ ধরনের আয়োজন করেনি । খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিগণ আরো জানান,কবিরহাট থানা,কথিত নামধারী সংবাদকর্মী পরিচয়দানকারী একটি চক্র প্রতি দিন এই অশ্লীল নৃত্য থেকে চাঁদা পাচ্ছেন,তাই প্রশাসনের সামনে চলছে ইহা।
Leave a Reply