স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রাম নগরীর পশ্চিম মোহরা,শহরআলী ডাক্তার বাড়ী ৯৫বছর বয়সী বৃদ্ধা মফিজুর রহমানের ছেলেসন্তান না থাকায় একমাত্র উত্তরঅধিকারী অসহায় নিরুপমায় অভিভাবকহীন দু’মেয়ের জমি নিয়ে নিজ চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে সঠিক অংশবন্টন ও মালিকানা শর্তে বিরোধের জেরে সংযোগ গ্যাস সরবরাহে বেআইনি ভাবে বাঁধা,নানা সরযন্ত্র মিথ্যা অভিযোগ,বাধা-বিঘ্নতা বিপত্তি,খতিয়ান ভুল,অশুদ্ধ,জটিলতায় দীর্ঘ ৩০বছর পর আদালতের নির্দেশে প্রকশ্য দিবালোকে জনসম্মুখে অবশেষে উদ্ধার হলো ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে। যা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ সার্ভেয়ার আমিনের মাপজরিপে জমির হার অংশ বন্টনে সমান অনুপাতে সঠিক পরিমাণে অংশ ও সীমানা নির্ধারন করা হয়।এবং নিরাপদে স্থায়ী দখল নিশ্চিতে উক্ত জায়গায় সাইনবোর্ডও স্থাপন করা হয়।
জানা যায়,উত্তরাঅধিকাের সুত্রে ও মালিকানা শর্তে পাওয়া জমির মালিক আক্তার বেগম ও নাছরিন আক্তার দু’বোনের জমির ভাগের অংশ হিসেবে মাত্র ৩ কড়া অংশটি নিয়ে বৃদ্ধার ভাতুষ্পুত্র গংদের সাথে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এবং অসহায় দু’বোনের দাবি তার চাচাত ভাই গংদের দ্বারা পূর্বে থেকে ও আরও সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত সহ বিভিন্নভাবে ব্যাপক আর্থিক ও অহেতুক নানান বাধাবিঘ্নতা,বিরোধে হয়রানি করে আসছিল বলেও দাবি করে।
জানা যায় ভুক্তভোগী মফিজুর রহমানের জেঠাতো ভাই আলী আহমদ দলিলপত্র গোপন করে নিজের নামে বিএস করে নেয়। মালিক না হওয়া সত্বেও গায়েরজোরে নানা কলাকৌশলে,দলিল,আদালত ও আইনের জটিলতায় তারা জমিটি দখল করার চেষ্টায় ব্রত থাকে বেআইনিভাবে দীর্ঘ দিন ধরেই। এবং শুধু তাই নয় ৩/৪ বার জমিটি বিক্রিও করেছে বলেও জানা গেছে। এ জমির অংশ মালিকানা নিয়ে একাধিক সামাজিক বিচার থানা পুলিশ কোর্টে কাছে অভিযোগ করেও প্রতিপক্ষের দ্বারা গায়েরজোরে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ ও অহেতুক হয়রানি আগ্রাসন অশুভনীয় আচরণ করে বলে জানায় ভুক্তভোগী।
বৃদ্ধার বড় মেয়ে সাংবাদিকদের কাছে জমি বিরোধকান্ডে অভিযোগ করে বলেন,আমাদের লোকবল,দেখার মত কেউ নেই,তারা ইতিপূর্বেও নানান ছলছাতুরী করে আমাদের জমি,ও অন্যান্যাভাবে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি করে আসতেছে। আমাদের বঞ্চিত ও নানান কায়দায় অকৌশলে ও মিথ্যা মৌখিক অভিযোগে কেড়ে নিয়েছিল ভূয়া মালিকানা সত্বে। আমার বাবা কখনো কোন জমি বিক্রি করেনি,কেনইবা করবে আমার বাবা দীর্ঘ ৩০ বছর সুদূর বিদেশে ছিল। তাছাড়াও আমাদের পরিবারে এমন কোন আর্থিক সংকট সমস্যা ছিলো না যে,জমি বিক্রি করতেই হবে। এছাড়াও তাদের কাছে উল্লেখযোগ্য কোন প্রকারের কাগজপত্রও নেই।
শুধুমাত্র তারা ক্ষমতার জোরে আমাদের জমি আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পায়তারায় সক্রিয় ছিল এখনো পর্যন্ত নানাভাবে অপকৌশল চালাচ্ছে। আমাদের কোন ভাই নেই,তাই আমরা আজ অসহায়। বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় নিয়ে প্রশাসন ও সামাজিক সুদৃষ্টির হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ভুক্তভোগী পরিবারের ভাষ্যমতে,৩০বছর ধরে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি চাচাতো ভাই গংদের কুনজরের জেরে এবং মৌখিক ও গায়ের জোরে ঠুনকো ক্রয়সূত্রে ভূয়া মালিকানা দাবি করে জমি দখলের নীল নকশার ছক আঁকেন। অতচ জমিটির প্রকৃত দাবীদার বা মালিকানা বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য আদালতের সরণাপন্ন হই।এরই ধারাবাহিকতায়
আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে দীর্ঘ ৪ বছর পর আমাদের জমি আমাদের পক্ষেই রায় প্রদান করলে মৌখিকভাবে এলাকাবাসীদের ও থানায় পুলিশকেও অবহিত করি যাতে প্রতিপক্ষগং দ্বারা যাতে আপত্তি বাঁধা নিষেধ হতে বিরতি ও কোনরূপ নেতিবাচক প্রশ্ন কিংবা সমালোচনা না হয়।
কিছুদিন আগে জমির মালিক বাদী পক্ষের বড় বোনের জামাতার নামে বিববাদী পক্ষের কেয়ারটেকারকে মারধরের শিকার,মিথ্যা,হয়রানি ও সরযন্ত্রমূলক,মিথ্যতথ্যে,অভিযোগে,যা পরবর্তীতে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট,ভূয়া,সম্পত্তির জেরে পূর্বপরিকল্পিত উদ্দেশ্যে প্রনোদিত,হয়রানিমূলক অভিযোগ বলেও বিবেচিত ও প্রমাণিত হয়। ভুক্তভোগী দুবোনের বড় বোনের জামাতা জানান,আমার স্ত্রীর চাচাতো ভাইয়েরা বেআইনিসত্বেও এর আগেও এ জমি কয়েকবার বিক্রি করেছিল এবং আমাদের জমির যাবতীয় কাগজপত্রাদি তাদের কাছে জমা রয়েছে। আমার নামে নিছক,মিথ্যা,অযথা হয়রানিমূলক মারধরের অভিযোগও করেছিল। ২০১৮ এর আগে বিষয়টি নিয়ে কেন আদালতের সরনাপন্ন হননি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,আমরা মনে করেছিলাম,সামাজিক শালিসি বৈঠকের সিদ্ধান্তে তারা মেনে নেবে কিন্তু না তারা আরও বেপোরাওয়া হয়ে উঠতে লাগলো যা পরবর্তীতে আদালতে সরণাপন্ন হলাম।
এ ব্যাপারে দু’বোনের চাচাতো ভাই গংদের মোহাম্মদ ইউছুফ পিতা-মৃত আলী আহমদ বলেন-জায়গাটার গোড়াতে আমার দাদারা দুই ভাই ছিল। ভাইয়ের জায়গা ভাই বিক্রি করেছে পরিমাণের চেয়ে বেশি।ওরা ১টা আরএস খতিয়ান ধরে এটি একতর্ফা রায় নিয়েছে,ওদের রায় এটা হয় নাই,ওরা পাইলেও ঠিক না থাকলে ধরে রাখতে পারবে না দিয়ে ফেলতে হবে।আমি জন্ম থেকেই দেখেছি আমার আব্বা উক্ত জমিতে ধান রোপণ করেছে।জমিটি আমার আব্বা বোনকে দিয়ে দিয়েছে। আমরা কখনও কারো জমির মালিকানা অংশে অন্যায়,বেআইনিভাবে হস্তক্ষেপ করিনি। ওই জমি সংক্রান্তে খরিদাসূত্রে মালিক জমিটির অংশের মালিকানা সত্বে আমরা আইনি হস্ত ক্ষেপে জবাব দিব আর এটি একতরফা রায় আমাদের মালিকানা সত্বে দ্রুতই আদালতে আপিল করব।আদালতের নির্দেশকে আমি সম্মান করি। আইনকে সম্মান করে তাই কেউ কিছু বলতেছেনা।
আরেক চাচাতো ভাইগং মোহাম্মদ জহুর আলম পিতা- মৃত সালেহ আহমদ বলেন- কোর্টের মামলায় আদালতে যেটা রায় দিয়েছে সেটাই হবে।আমি এর বাহিরে বুঝিনা। আর রায়ের উপর আমার কোন আপত্তি নেই।সেখানে আমিও একজন অংশীদার আমিও বঞ্চিত ছিলাম আমার আব্বাকেও বঞ্চিত রেখে ছিল। কাগজে জায়গায় থাকলে কেন দিবে না এতে যদি কেউ আপত্তি,বাঁধা,হুমকি দেয় আদালতের রায়কে অগ্রায্য করে আইনি প্রকৃয়ায় আগাতে হবে।
মোহাম্মদ নাছের-পিতা মৃত নুর আহমদ বলেন- এটা কোর্টের মামলায় আদালতে থেকে রায় পাইছে আমার চাচাতবোন। দন্দ হচ্ছে আলী আহমদের ছেলেদের সাথে। চাচাত বোনের কারণে আজ আমরাও উক্ত জমির অংশ পাব। আমার বাপের ভাইয়ের সম্পত্তি আমার চাচাতবোন যদি ফিরে পাই তাহলে কেন আপত্তি করব,দাদার সম্পত্তি চাচা পাবে কেনই বা খুশি থাকবনা।
Leave a Reply