বিএস বিদ্যুৎ
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
বগুড়া জেলার অন্তর্গত নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪ নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের বাঁশো ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিদিন শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষের ভীড় জমে।গতকাল বাঁশো ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায় সেখানে তালা ঝুলছে।বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ।শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করে জানা যায় তারা দীর্ঘদিন যাবত জন্মসনদের ভুল এবং ডিজিটালকরণের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে ঘুরতেছে কিন্তু কোনোকিছুতেই সমস্যা সমাধান হচ্ছে না তাদের।বাঁশো ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলেন যে আজ হবে না কাল আসো,আজ সার্ভার বন্ধ আছে ইত্যাদি রকমের তালবাহানা শুরু করে তারা।আবার অনেক সময় দেখা যায়,জন্মসনদের লেখা এক জায়গায় ঠিক করেছে কিন্তু অন্য জায়গায় ভুল করছে।আবার অনেক সময় দেখা যায় সরকারী ছুটির দিন ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলছে।শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণ বলেন,শুধু একবার না বারবার তারা এই ভুল করেন এবং বিনিময়ে আমাদের কাছ থেকে বারবার টাকা নেয়।এমনকি অনেক সময় সবার সাথে খারাপ ব্যবহার করে তারা।
এ বিষয়ে বাঁশো ইউনিয়নে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যায়।এমনকি ৪ নং থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করে।গতকাল নন্দীগ্রাম উপজেলার ইউএনও শিফা নুসরাতকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানানো হলে তিনি লিখিতভাবে আবেদন দিতে বলেন।শিক্ষার্থীরা বলেন,যদি অভিযোগ দিতে গিয়েও এতো ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাহলে আমরা কার কাছে যাবো।
সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীদের একটাই দাবি-টেকনিশিয়ান পরিবর্তন করা হোক এবং তারা এটার দ্রুত সমাধান চায়।
নচেৎ তারা বগুড়া জেলা প্রশাসকের শরণাপন্ন হবে।
Leave a Reply