আজ ৯ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

পাঁচবিবিতে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় দুইজন আটক-দৈনিক বাংলার নিউজ

নিরেন দাস,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ-

পুলিশি তৎপরতায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামে কলেজছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় রনি মহন্ত (৩০) ও জাহিদ হাসান (৩২) নামে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (০৮ ই মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঁঞা- পিপিএম-সেবা।

আটককৃতরা হলেন, পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শংকর মহন্তর ছেলে রনি মহন্ত ও আয়মাপাড়া এলাকার খোরশেদ মন্ডলের ছেলে জাহিদ হাসান।

এবং নিহত আয়েশা মাঝিনা গ্রামের মোজ্জামেল হকের মেয়ে। সে জয়পুরহাট সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

প্রেস বিফ্রিংয়ে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঁঞা জানান, কলেজছাত্রী আয়েশার মা ২০০৭ সালে মারা যান। আর বাবা ঋণ খেলাপির কারণে জেলে থাকার কারণে সে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। এদিকে রনি ও জাহিদ কলেজছাত্রী আয়েশাকে অনেকদিন থেকে উত্ত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এজন্য আয়েশার বড় ভাই তাদের শাসিয়ে ছিলেন। এরপর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে গত শুক্রবার রাতে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তারা দেয়াল টপকিয়ে আয়েশার ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে।

এসময় আয়েশা বাধা দিলে ও চিৎকার করতে চাইলে তারা মুখে কাপড় ও গলা চেঁপে ধরে। এসময় আয়েশা নিস্তেজ হয়ে পড়লে তারা আবারও দেয়াল টপকিয়ে পালিয়ে যায়। পরে শনিবার সকালে তার বিবস্ত্র অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর সন্দেহভাজন রনি ও জাহিদকে আটক করা হলে রনির বুকে খামচানোর দাগ পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তারা।

এর আগে, গত শুক্রবার আয়েশার ভাই-ভাবি বাড়িতে ছিলেন না, তাই সে পাশের বাড়ির দুই কিশোরীকে নিয়ে আসেন বাড়িতে। পরে টিভি দেখে দুই কিশোরী এক রুমে, সে পাশের অন্য রুমে ঘুমাতে যান। পরে শনিবার সকালে ওই দুই কিশোরী ঘুম থেকে উঠে ওই ছাত্রীর মরদেহ বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পায়। এসময় তারা চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ