বিএস বিদ্যুৎ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
এপেক্স ক্লাব অব গোবিন্দগঞ্জ, ক্লাব নং- ৮৩, ডিস্ট্রিক্ট -৭ এর উদ্যোগে ১৯ জুলাই’২২ খ্রিঃ এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশ এর ৬১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী কেক কেটে উদযাপন করা হয় শাহেদা মঞ্জিল, ঝিলপাড়া গোবিন্দগঞ্জে।
এই দিনটিকে স্বরনীয় করে রাখতে ক্লাবের ২২৭ তম ডিনার মিটিং এর মাধ্যমে সুচনা করে কেক কর্তন দিয়ে শেষ করা হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব এপেক্সিয়ান মোঃ সাহারুল ইসলাম টিটু, এপেক্স ক্লাব অব বাংলাদেশের জেলা গভর্নর – ৭, অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন জনাব এপেক্সিয়ান কাজি মো আসাদুজ্জামান উল্লাস, সভাপতি এপেক্স ক্লাব অব গোবিন্দগঞ্জ , পিপি এপেক্সিয়ান মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক, আইপিপি মোঃ মনোয়ার হোসেন রাজু, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ জিল্লুর রহমান, সেক্রেটারি এন্ড ডিএনই এপেক্সিয়ান এটিএম আল আমিন তুহিন, ট্রেজারার এপেক্সিয়ান ইরফান, সার্ভিস ডিরেক্টর এপেক্সিয়ান তাহেদুল ইসলাম, ফেলোশিপ এন্ড পাবলিক এপেক্সিয়ান শ্রী মনমোহন, এপেক্সিয়ান মুকু মিয়া, এপেক্সিয়ান বিএস বিদ্যুৎ, এপেক্সিয়ান আবু খালেদ বিপ্লব, এপেক্সিয়ান রফিকুল ইসলাম অপু, এপেক্সিয়ান অশোক, এপেক্সিয়ান ছায়া রানী, এপেক্সিয়ান খালেদা আক্তার হাসি প্রমুখ।
বাংলাদেশে এপেক্স
বাংলাদেশে এপেক্স ক্লাবের বার্তাবহনকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সুলেমান খান। বাংলাদেশে এপেক্স রশ্মির প্রথম বিচ্ছুরণ ঘটে ১৯৬১ সালে। ঐ বছরের ১৯ জুলাই ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় প্রথম ক্লাব, এপেক্স ক্লাব অব ঢাকা। ঢাকা ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আহমেদুুর রহমান ও সম্পাদক সৈয়দ এ.কে. মাহমুদুল হক। পরবর্তিতে ১৯৬৩ সালে চট্টগ্রাম এবং আরও পরে সিলেট. কুমিল্লা, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ ও জাহাঙ্গীরনগর ক্লাবের প্রতিষ্ঠা হয়। এই ৭টি ক্লাব নিয়ে ১৯৭৬ সালে ন্যাশনাল এসোসিয়শন অব এপেক্স ক্লাবস্ অব বাংলাদেশ গঠিত হয়। এর পূর্বে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার জোন-১০ এর অন্তর্ভূক্ত ছিল। পরবর্তিতে এপেক্স নেতাদের সক্রিয় প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের প্রায় সব জেলা সদরেই এপেক্সের প্রসার হয়েছে। বর্তমানে ৯ টি এপেক্স জেলা, চার্টার্ড ক্লাবের সংখ্যা ১৩০ টি ও আনচার্টার্ড ক্লাবের সংখ্যা ১২ টি এবং এক্টিভ এপেক্সিয়ান রয়েছে প্রায় ৫০০০। বর্তমানে বাংলাদেশে এপেক্স ক্লাবগুলো ৯ টি জেলায় বিভক্ত ও একটি জাতীয় সংগঠনে একীভুত। ইহা এপেক্স গ্লোবাল (Apex Global) ও আন্তর্জাতিক যুব সমাজের প্রতিষ্ঠান ওকো ফাউন্ডেশন (WOCO Foundation) এর স্থায়ী সদস্য।
এপেক্সের উল্লেখযোগ্য অবদান
বাংলাদেশের এপেক্স ক্লাবগুলো ১৯৬১ সাল থেকে এদেশে কমভাগ্যবানদের মধ্যে বিরামহীন সেবাদান করে আসছে। প্রতি বছরই প্রতিটি ক্লাব নিজেদের সামর্থ ও আন্তর্জাতিক সহায়তার মাধ্যমে বহু সেবামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। তন্মধ্যে সেবা কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য অবদান নিন্মে উল্লেখ করা হলোঃ
বৃক্ষরোপন কর্মসূচির পথিকৃৎ । প্রতিবছর এক মাস ব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পরিচালনা
বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও যুদ্ধাহত জনসাধারণের জন্য মেদুয়া, শিবপুর আটিভাওয়াল, চরবাটা, হলিশহর, নোয়াপাড়া, সিলেট, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, পটুয়াখালী, পিরোজপুর অঞ্চলে গৃহ নির্মাণ।
কম জ্ঞানবান ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শিক্ষাবৃত্তি প্রদান ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা।
প্রতিবছর বিভিন্ন অঞ্চলে শীতার্ত মানুষকে কম্বল ও শীতের কাপড় বিতরণ।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের আউটডোর ক্লিনিক নির্মাণ ও একটি এম্বুলেন্স প্রদান।
বরিশাল হোমিওপ্যাথিক কলেজ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা ।
দেশের বিভিন্ন স্থানে যাত্রী ছাউনী নির্মাণ।
দুঃস্থ মহিলাদের সেলাই শিক্ষা প্রকল্প।
পিরোজপুরে কিনপেক্স প্রকল্প ( উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র)।
বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে অসংখ্য চক্ষুশিবির, বিনামূল্যে চিকিৎসা, ঔষদ সরবরাহের আয়োজন ও টিউবওয়েল বসানো ও রক্তদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
বগুড়ার বেকার যুবক প্রশিক্ষণ প্রকল্প।
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা করা ।
বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্তদের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রতিষ্ঠা প্রকল্প।
ময়মনসিংহের মাসকান্দায় ভেটেরেয়ানারী ক্লিনিক স্থাপন।
প্রায় সময়ই গরীব মৃত ব্যক্তির দাফনের ব্যবস্থা করা।
চট্টগ্রামে সন্ধানীকে রেফ্রীজারেটর প্রদান।
প্রতিবছর অনেক পঙ্গু প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার এপেক্স বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রদান করা হয়।
সংগঠনের একটি স্থায়ী ডকুমেন্টারি আছে, যা ঢাকাস্থ গ্রীন রোডে অবস্থিত।
উপরোক্ত প্রকল্পগুলো ছাড়াও বাংলাদেশের এপেক্স ক্লাবসমূহ জাতীয় দুর্যোগ, মহামারী ও বন্যার সময় আর্ত মানবতার সেবায় এগিয়ে এসে বহু সেবা প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে।
কৃতজ্ঞতা (Invocation)
For good food. For good fellowship and the priviledge to serve, we give thanks.
আনুগত্য প্রকাশ (Motion of Loyalty)
We the Apexians of Bangladesh pledge our aligiance to our beloved country, the people’s Republic of Bangladesh and to our President. God save Bangladesh and our President.
এপেক্স ক্লাবের উদ্দেশ্য (Objectives )
ব্যক্তি জীবনের সকল ক্ষেত্রে নৈতিক উন্নতির সক্রিয় চেষ্টা চালানো ।
পেশা , ব্যবসা ও বাণিজ্যে উন্নত নীতিবোধ সৃষ্টির জন্য উৎসাহিত করা এবং ভাবের আদান প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন ও প্রয়োগের বিকাশ ঘটানোর ক্ষেত্রে তৈরি ও প্রশস্ত করা।
স্থায়ী বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করা ও তা বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকা ।
বিশ্বের অপর দেশের যুবসমাজের সাথে যোগাযোগ স্থাপন ।
এপেক্স ক্লাবের বৈশিষ্ট্যঃ
সদস্যদের বয়স সীমা ১৮ হতে ৬০ বৎসর ।
অর্থনেতিক সাহায্যের চেয়ে ব্যক্তির প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকে এ সংগঠন বেশি প্রাধান্য দেয় ।
সুন্দর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, যেখানে দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জনের অপূর্ব সুযোগ রয়েছে ।
Leave a Reply