মোঃ সেতাউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম
দিনমজুর রইশুদ্দীন মিয়া। বয়স ষাট পেরিয়েছে হয়তোবা । ঠিকমতো কাজ না করতে পারার জন্য কখনও খেয়ে আবার কখনও অর্ধাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে পরিবারটিকে । তারপরও শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী ২ অক্ষম ছেলে। আবার কেউবা খাঁচাবন্দি পাগলামীর কারণে। অনাহারে যখন ছটপট করতে থাকে অসহায়েরা, তাঁদের কষ্টে মনে হয় কেঁপে উঠে পৃথিবী। অস্থির হয়ে উঠে অসহায় জীবন। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত এমন কষ্টের কথা শুনে খাবার ও টাকা পয়সা নিয়ে পাড়ি জমালেন চককির্ত্তি ইউনিয়নের রাণীবাড়ি চাঁনপুর গ্রামের সেই অসহায় রইশুদ্দিনের বাড়িতে।
পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা খাবার যোগাতে হিমসিম খেতে হয় তাঁকে। অনেক কষ্টে দিন পার করে তাঁর পরিবার। শুধু তাই নয় এক ছেলে তামিমকে দুই বছর ধরে বাঁশের বেড়া দিয়ে তালাবদ্ধ করে আটকিয়ে রাখা হয়। অন্য ছেলে অমিত সেও মানসিক ভারসাম্যহীন। এমন কষ্টের কথা শুনামাত্র শিবগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উদ্যোক্তা মোঃ আবুল হায়াত শনিবার ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে খাবার ও নগদ অর্থ অসহায় পরিবারের হাতে তুলে দেন। এসময় চককির্ত্তি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন আনু মিয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল ইসলাম সহ স্থাণীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনওর অনুদান হিসেবে চাল, ডাল, তেল, আলু, লবণ, ছোলা, পেয়াজ ও নগদ অর্থ সহায়তা কান্না জড়িত কন্ঠে রইশুদ্দিনের স্ত্রী বলে, আল্লাহ আপনাকে অনেক বছর বাঁচিয়ে রাখুক। যে মা এমন ছেলে গর্ভে ধারণ করেছে আল্লাহ যেন সেই মাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করে নিন।
এমন উপকারের কথা বলার অবকাশ নেই। পুরো উপজেলা জুড়ে যিনার সহায়তার ছোঁয়ায় শত শত পরিবারের অস্বচ্ছলতা দূর হয়ে মুখে হাসি ফুটেছে হাজার হাজার মানুষের। শুধু অন্য বস্ত্র নয় চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহযোগিতার কোন কমতি নেই। মানুষের সেবা করা যেন নেশায় পরিণত হয়েছে। ইউএনও আবুল হায়াত প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজ বজায় রেখে সারাক্ষণ যেন ছুটে চলেন আত্ম মানবতার সেবায়। সবাইকে এমন মহৎ কাজে এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহ দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হায়াত বলেন, আমি আমার সাধ্যমত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। এসময় তিনি সরকারিভাবে সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
Leave a Reply