নিজস্ব প্রতিবেদক:- নিরেন দাস
জয়পুরহাটের কালাইয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে।
এই দিবসটি পালনের শুরুতেই মঙ্গলবার (২৬ শে) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্ব্নির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর কালাই বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে একে একে পুস্পস্তবক অর্পন করেন, উপজেলা প্রশাসন, কালাই পৌরসভা, কালাই থানা পুলিশ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেসক্লাব কালাই, আওয়ামী লীগেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষেরা। পরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি, বে-সরকারি, আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাস ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ৮.৩০ মিনিটে কালাই সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের শেষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ওড়িয়ে উক্ত অনুষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। পরে কালাই থানা পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স এবং বিএনসিসিসহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মিনফুজুর রহমান মিলন, কালাই উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হায়াত ও কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াসিম আল বারী।
পরে কালাই সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ছাইফুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো.মিনফুজুর রহমান মিলন এবং কালাই উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হায়াত প্রমুখ। পরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহনে শারীরিক কসরত প্রদর্শন, ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। পবে এই স্থানে বীর-মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুাষ্টত হয়। উক্ত অনুষ্টানের শেষে বিজয়দের পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এছাড়াও বাদ জোহর জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির ও গির্জা অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা এবং হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত মানের ইফতারি খাবারো পরিবেশন করানো হয়েছে।
Leave a Reply