আজ ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শিবগঞ্জে জোরপূর্বক কিশোরীকে বিয়ে নববধূকে মারধর করে বিদায়

 

মোহাঃ আহসান হাবিব রনি, (চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবগঞ্জে এক কিশোরীকে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে ওই কিশোরের বাড়িতে গেলে কিশোরের চাচা শাহালাল মারধর করে বাড়ি থেকে বিদায় করে দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের মোবারকপুর মাঝাটোলা গ্রামের মুখলেশ আলীর ছেলে মো. মইন আলী ও একই গ্রামের স্কুল পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে গত ২২ মে সন্ধায় মোবারকপুর ইউনিয়নের খড়কপুর গ্রামের এসলাম আলীর ছেলে মো. কালাম হোসেনের বাড়িতে গোপনে বিয়ে দেয় গোলাম রাব্বানী নামে এক যুবক। পরেরদিন ২৩ মে রাজশাহী জজ আদালতের নোটারী পাকলিক আইনজীবীর মাধ্যমে বিয়ের এফিডেভিট করান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই কিশোরীকে প্রায় ২ বছর আগে থেকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল মুখলেশ আলীর ছেলে মো. মইন আলী। আর তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেন মোবারকপুর ইউনিয়নের রনি বাজারের ইব্রাহিম আলীর ছেলে গোলাম রাব্বানী।
এদিকে, হয়রানী ও লাঞ্ছিতের শিকার কিশোরী অভিযোগ করে বলেন, মো. মইন আলী আমাকে প্রায় ২ বছর ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল এমনকি আমাকে প্রেম প্রস্তাব দিয়েও আসছিল। পরবর্তীতে তার বন্ধু গোলাম রাব্বানী আমার সাথে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে খড়কপুর গ্রামে নিয়ে গিয়ে দেন মোহর ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ধার্য করে বিয়ে পড়িয়ে দেয়। বিয়ে আমার মত ছিল না। কিন্তু ইসলামী শরীয়াহ মতে বিয়ে হওয়ায় আমি স্বামী অধিকার চাই। বিধায় আমি আমার স্বামীর বাড়িতে অধিকার নিয়ে গেলে আমাকে তার চাচা শাহালাল ও শাশুড়ি বেধড়ক মারধর করে। আমি আমার অধিকার চাই এবং আমার উপর যে অত্যাচার হয়েছে তার বিচার চাই।
এদিকে, মুখলেশ আলীর ছেলে মো. মইন আলী বলেন, আমি তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করিনি। বরং মেয়ের নানী ও গোলাম রাব্বানী আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে পড়ান। আমি জানি না যে আমার বিয়ে হচ্ছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত শাহালাল বলেন, মেয়েটি আমাদের বাড়িতে এসেছিল এবং কেনো এসেছিল তা আমি জানতে চেয়েছি। মেয়েটিকে আমি কোন ধরনের মারধর করিনি। বরং তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে চলে যেতে বলি।
এব্যাপারে মোবারকপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সবুজ আলী সুজন বলেন, এবিষয়ে আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আমি এব্যাপারে কিছুই জানি না।
এদিকে মোবারকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহামুদুল হক হায়দারী মাহামুদ মিঞা জানান, আমি এই বিয়ের বিষয়টি অবগত না। যদি এব্যাপারে কেউ আসেন তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com