চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পার কানসাট গ্রামের মোঃ আঃ সাত্তার একজন ভূমিদস্যু, দাঙ্গাবাজ, উচ্ছৃঙ্খল, জবর দখলকারী এবং জাল দলিলকারি, হিংসা পরায়ণ ব্যক্তি। সে পার কানসাট গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে। আঃ সাত্তার ২৭/১২/২০১১ ইং তারিখে তাঁর ছেলে সুমন আলীর নামে একটি জাল দলিল তৈরি করে। যাহার দলিল নং ১৫৫২৪/২০১১ । উক্ত দলিলের তফসিলভুক্ত জমির পরিমান ১৫১ দাগে ১১ শতাংশের মধ্যে .০২৫০ শতাংশ, ১৬০ নং দাগে ১৮ শতাংশের মধ্যে .০৩০০ শতাংশ, ১৯৮ নং দাগে ২১ শতাংশের মধ্যে.০৯০০ শতাংশ , ১৩৫০ নং দাগে ১০৮ শতাংশের মধ্যে .২৬৮৮ শতাংশ, ১৫০ নং দাগে .০৯ শতাংশের মধ্যে.০৫০০ শতাংশ । এদিকে জাল দলিলে উল্লেখিত জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে জমির ফসল পর্যন্ত আত্মসাৎ করে আসছে আঃ সাত্তার বাহিনী। এদিকে জাল দলিল নং ১৫৫২৪/২০১১ বাতিলের জন্য মোঃ আফতাব আলী ও বোন আনোয়ারা বেগম চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ২৮৭/২০২১। মামলাটি চলমান।
বাবার সেবা যত্ন করার সুবাদে মোঃ আব্বাস আলী জীবিত থাকাকালীন অবস্থায় পার কানসাট মৌজার জেএল নং ৪৮, আরএস খতিয়ান ১২, এবং ১৫০ দাগের নয় শতাংশের মধ্যে চার শতাংশ, একই মৌজার জেএল নং ৪৮, ১৫১ নং দাগে ১১ শতাংশের মধ্যে ২ শতাংশ জমি ছোট ছেলে মোঃ আফতার আলীকে হেবা দলিল করে দেন। ফলে আঃ সাত্তার স্ত্রী, ছেলে মেয়ে জামাই সহ সংঘবদ্ধ হয়ে ছোট ভাইকে মারধর, প্রাণ নাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। আঃ সাত্তার নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য জন্মদাতা বাবাকেও কয়েক দফায় মারধর করতে দ্বিধাবোধ করেনি। ছেলের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অসহায় বৃদ্ধ পিতা মোঃ আব্বাস আলী ০৩/১২/২০১৫ ইং তারিখে সুবিচার চেয়ে তাঁর বড় ছেলে আঃ সাত্তার, সাত্তারের স্ত্রী রিজিয়া, মোঃ সুমন, শুকতারা, মুক্তারা, সুলতানা, আয়েশা ও আমেনা সর্ব পিতা আব্দুস সাত্তার, সাগর পিতা তাসকুল, তাসকুল পিতা আফসার, সোহেল পিতা ফেতু গণের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কানসাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবরে বিচার প্রার্থী হন। অপরদিকে আফতার আলী বড় ভাই আঃ সাত্তার বাহিনীর বিরুদ্ধে ১০/১০/২২ ইং তারিখে মারধর ও লুটপাটের অভিযোগ এনে কানসাট ইউনিয়ন পরিষদে শান্তি শৃংখলার লক্ষে বিচার প্রার্থী হন। বিবাদী পক্ষের গ্রাম আদালত অবমাননা করে গরহাজিরার কারণে ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতের পক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সেফাউল মূলক বাদী পক্ষকে ১৪/১২/২০২২ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালতের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেন। মর্মে আফতার আলী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যাহার নং সি-২০২২।
অপরদিকে পার কানসাট মৌজার জেএল নং ৪৮, খতিয়ান আরএস ২২, প্রস্তাবিত ১৭৯ দাগ নং সাবেক ১২৬ ও ১৬৪, হালদাগ নং ১৫৮ এর ৪৫ শতাংশের মধ্যে মনোয়ারা বেগম স্বামী আফতার আলী ৯ শতাংশ ও জয়নব বিবি স্বামী মৃত আব্বাস আলী ৯ শতাংশের স্বত্তাধীকারী। জয়নব বিবি দুই সন্তান আঃ সাত্তার ও মোঃ আফতাব আলী এবং মেয়ে আনোয়ারা বেগমকে রেখে মৃত্যু বরণ করেন। আঃ সাত্তার তাঁর স্ত্রী সন্তান মেয়ে জামাই নাতিদের সাথে নিয়ে উক্ত সম্পত্তির প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা তিনটি কাঁঠাল গাছ কেটে নিয়ে যায়। মর্মে আকতার আলী এবং আনোয়ারা বেগম বড় ভাই আব্দুস সাত্তার সহ তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার সাক্ষী প্রতিবেশী জবদুল হকের স্ত্রী মোস্তারী বেগমের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে ০৭/০৪/২০২৩ইং তারিখ বেধড়ক মারধর করে সন্ত্রাসী বাহিনী বিবাদী পক্ষ। এক পর্যায়ে মোস্তারী বেগমের মাথার চুল টেনেহিঁচড়ে এক গোছা চুল ছিড়ে নেয়। এখানে মোস্তারীর অপরাধ ছিল সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি সত্য ঘটনার স্বাক্ষী দেওয়া। যাতে গাছ কাটা মামলার স্বাক্ষী দিতে আদালতে যেতে না পারে সেই জন্য স্বাক্ষীকে মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে আব্দুস সাত্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আব্দুস সাত্তার এবং তার ছেলে সুমনের স্ত্রী মাফিয়া জানায়, আফতার আলী এবং তার লোকজন গাছের কাঁঠাল পেড়ে নিয়েছিল তাই আমরা গাছ কেটে খড়ি করে পুড়িয়ে ফেলেছি। এছাড়া জাল দলিল তৈরি করা, গাছ কাটা, মামলার সাক্ষীকে মারধর করা এবং আব্দুস সাত্তার তাঁর বাবার লাশের খাটলি আটকিয়ে দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
মোঃ আফতার আলী আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে সন্ত্রাসী আঃ সাত্তার বাহিনীর উপযুক্ত বিচার দাবী করেন।
Leave a Reply