চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সোনামসজিদ তোহাখানা নিয়ামতিয়া আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ মামুনুর রশিদ এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ছাত্র জনতা। এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে দু’গ্রুপের।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, তোহাখানা নিয়ামতিয়া আলিম মাদ্রাসার নির্বাহী কমিটি ২০১৯ সালে সহকারী মৌলভী শিক্ষক মামুনুর রশিদকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেন। তৎকালীন সময়ে সহ সুপার পদে মোঃ আব্দুল মালেক স্বপদে বহাল থাকলেও মোঃ মামনুর রশিদকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি ছিল অনিয়মতান্ত্রিক। সেই সুযোগে মোঃ মামুনুর রশিদ মাদ্রাসায় একনায়কতন্ত্র কায়েম করে দুর্নীতির রাজ্য গড়ে তুলে। ফ্যাসিবাদী সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকার অনিয়ম, বিভিন্ন পদে চাকুরি দেওয়ার নামে হাতিয়ে নেওয়া লক্ষ লক্ষ টাকা, কোন শিক্ষক কর্মচারী অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বললে মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানো, প্রতিষ্ঠানের পড়ালেখা নিয়ে কথা বলতে গেলে শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি সহ নানা অভিযোগ উঠে আসে তৎসময়ের ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ মামুনুর রশিদ এর বিরুদ্ধে।
গত নয় জুলাই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্বভার ছেড়ে জুনিয়র শিক্ষক মোঃ মনিরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সুপার এর দায়িত্ব দেন মৌলানা মোঃ আব্দুর রশিদ। কিন্তু এদিকে শিক্ষার্থীরা নীতিমালার লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্বে থাকা শিক্ষককে চাপ প্রয়োগ নপদত্যাগের মধ্য দিয়ে মোঃ মনিরুল ইসলাম ১৯ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান।
আরো উল্লেখ যে, প্রতিষ্ঠানের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার ও মৌলভি শিক্ষক মোঃ মানুর রশিদ এর অনিয়ম-দুর্ণীতিতে অতিষ্ঠ বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী অভিভাবক মহলকে ফাঁসানোর কুমতলবে তোহাখানা মসজিদের ইমাম মোঃ সেলিম ও তোহাখানা রেষ্ট হাউজের কেয়ারটেকার মোঃ শামিমকে দিয়ে শিক্ষক মামুনুর রশিদ প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রাতের আঁধারে অন্যত্র সরান বলে তাঁরা উপস্থিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্র জনতার কাছে জানিয়েছে ।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ মামুনুর রশিদকে প্রতিষ্ঠানে ডাকা হলে তিনি দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে মুঠোফোনে জানান, সময় হলে আমি মাদ্রাসায় যাব, কারো কথায় যাব না। এদিকে
ছাত্র জনতা মৌলভি শিক্ষক মোঃ মামুনুর রশিদের পদত্যাগের দাবিতে গত ২৫ আগষ্ট সকালে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় মৌলভি শিক্ষকের সকশ অনিয়ম দুর্নীতির কথা তুলে ধরে অনতি বিলম্বে তাঁর পদত্যাগ দাবি করে।
Leave a Reply