স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোরের শার্শায় পাল্টা পাল্টি সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত উভয় পক্ষের ৯ থেকে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার(২৬ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
জানাগেছে,মঙ্গলবার বিকাল ২ ঘটিকার সময়ে শার্শা উপজেলার বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি গ্রুপ কর্তৃক শার্শা থানাধীন ১ নং ডিহি, ২ নং লক্ষনপুর ও ১১ নং নিজামপুর ইউনিয়ন এর সমন্বয়ে গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সমাবেশ আহবান করেন এবং সমাবেশ মঞ্চ তৈরি করেন।পরবর্তীতে শার্শা উপজেলা বিএনপির পক্ষে নিজামপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী একই মাঠে সমাবেশ আহবান করে মঞ্চ তৈরির প্রস্তুতি গ্রহন করেন।
উপরোক্ত পরিস্থিতিতে নাভারন সার্কেল সিনিঃ সঃ পুলিশ সুপার জনাব নিশাদ আল নাহিয়ান ও শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আমির আব্বাসের নেতৃত্বে অফিসার ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয়ই পক্ষের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করে সমন্বয় করে কর্মসূচি পালনে আহবান করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত করেন।
এমতাবস্থায় মফিকুল হাসান তৃপ্তি গ্রুপের মঞ্চ হইতে তৃপ্তি গ্রুপের আল মামুন বাবলু উত্তেজনা মুলক কথা বললে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং আল মামুন বাবলু এলোপাতাড়ি মারধর এর শিকার হয়।
পরবর্তীতে উভয় গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময়ে ৪/৫ টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে এবং উভয় গ্রুপের ৯ থেকে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসান জহির জানান,জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে একটি সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো গোড়পাড়া স্কুল মাঠে।সে অনুযায়ী নিজামপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের নেতৃবৃন্দ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলো। সকালে শুনতে পাই একই জায়গায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি ওখানে সমাবেশ করার জন্য রাতের আধারে মঞ্চ তৈরি করে রেখেছে। এটা জানার সাথে সাথে আমি আমার নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিই কোন সংঘাতে না জড়াতে এবং নাভারণ সার্কেল এএসপি ও শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টিম নিয়ে ওখানে গিয়ে দুপক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে দুপক্ষের সমাবেশ বন্ধ করতে অনুরোধ করলে আমার নেতাকর্মীরা তাদের সন্মানে শান্ত হয়ে থাকলে হঠ্যাৎ তৃপ্তি গ্রুপের সন্ত্রাসী জিরেনগাছা গ্রামের থোপ বিশ্বাসের ছেলে ডাবলু আমাদের নেতাকর্মীদের উপর বোমা নিক্ষেপ করে এবং লোকজন নিয়ে হামলা চালিয়ে অনেক নেতাকর্মীকে আহত করে। আমি জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছে এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বিচার দাবি করছি।
এ ব্যাপারে মোবাইল কলে কেন্দ্রীয় বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি মুখে কোন বক্তব্য দিতে চাইনা। আপনারা সরেজমিনে গিয়ে রিপোর্ট করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার(নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,ঘটনা ঘটার সাথে সাথে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের অনুকূলে আছে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply