শহিদুল ইসলাম
আলফাডাঙ্গা ফরিদপুর প্রতিনিধি।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সদর বাজার এলাকা ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে রেস্টুরেন্ট শহর হিসেবে। নিয়মিত খাবার-দাবারের পাশাপাশি পারিবারিক বিশেষ অনুষ্ঠান, পাত্র-পাত্রী দেখা, জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী, ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষরের মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়ে থাকে এ রেস্টুরেন্টগুলোতে। এসব রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশি খাবারের পাশাপাশি, ইন্ডিয়ান, ইতালিয়ান, জাপানিজ, চাইনিজ, কোরিয়ান, থাইসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশীয় খাবারসহ সি-ফুডও পাওয়া যায়।
এসব রেস্টুরেন্টে নানা দেশের খ্যাদ্যাভাস অনুযায়ী তৈরি হয়ে থাকে হরেকরকমের খাবার। এ এলাকায় কফি শপ এবং আইসক্রিম পার্লারও রয়েছে।
সন্ধ্যার পর এ রেস্টুরেন্টগুলোতে ক্রেতারা বেশি আসেন বলে জানান দোকানিরা।
এসব রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যার পর জমে ওঠে বন্ধুবান্ধব ও পরিবার পরিজন নিয়ে আড্ডা।আলফাডাঙ্গা হাসপাতাল রোড হতে কাশিয়ানি রোডের, দুপাশেই গড়ে উঠেছে রকমারি রেস্টুরেন্ট ও কফি হাউস।
এ এলাকায় উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য ও রয়েছে রেস্টুরেন্ট।
তবে পকেটের কথা চিন্তা না করে যেকোনো রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়লে বিড়ম্বনায় পড়তে হতে পারে। আধুনিকতার এবং বিশ্বায়নের কথা মাথায় রেখে এখানকার বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট নির্মিত হয়েছে।নিয়মিত কাস্টমার সার্ভিসের পাশাপাশি এই রেস্টুরেন্টগুলোতে হোম ডেলিভারি ও ক্যাটারিং সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে। অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে।ক্রেতাদের কথা বিবেচনায় নগদ ও কার্ড দু’ভাবেই বিল পরিশোধ করার সুব্যবস্থা ও আছে। এখানকার বড় বড় রেস্টুরেন্ট সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
এর মধ্যে আলফাডাঙ্গা সদর বাজার চৌরাস্তা সংলগ্ন বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্ট নামে একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে, এখানে নিম্ন ও মধ্যবর্তী সকল ধরনের মানুষের সাধ ও সাধ্যের ভিতর সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। যেমন বিফ তেহারি, মোরগ পোলাও, বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ, বিভিন্ন প্রকার ভর্তা, গরুর মাংস ভুনা ইত্যাদি। খেতে আসা ভোজন প্রেমীরা বলেন,রেস্টুরেন্ট গুলো দেখলে বোঝা যায় আলফাডাঙ্গার মানুষ আপ্যায়ন প্রিয়।
Leave a Reply