আজ ৫ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা পোস্টার ছড়ানোর অভিযোগ

 

মোঃ রফিক, বোয়ালমারী (ফরিদপুর)

ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৫নং বানা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা পোস্টার ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ইউপি চেয়ারম্যানের নাম ও ছবি ব্যবহার করে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার ছাপিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আঁধারে টানানো হয়েছে।

এছাড়া, পোস্টারে বানা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে শরীফ হারুন অর রশিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। পোস্টারে প্রচারক হিসেবে বানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি বাদশা মিয়ার নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

বাদশা মিয়ার নাম পোস্টারে প্রচারে উল্লেখ করা হয়েছে,এই বিষয়টি বাদশা মিয়ার কাছে জান্তে চাইলে তিনি, দৈনিক বাংলার নিউজকে বলেন,এই বিষয় আমি কিছু জানি না। কে বা কারা আমার সাথে চেয়ারম্যানের বিরোধ তৈরি করার জন্য শত্রুতামূলকভাবে এ কাজ করেছে।

৬ জানুয়ারি সোমবার, ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ হারুন অর রশিদ দৈনিক বাংলার নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কোথা থেকে বা কে এই পোস্টারগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে, আমি কিছুই জানি না। পোস্টারে আমার নাম এবং ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, কিন্তু আমার নাম সঠিকভাবে লেখা হয়নি। আমি একসময় বানা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপ্রতি ছিলাম, কিন্তু ২০১৭ সালে দলের বাইরে গিয়ে ইউপি নির্বাচন করেছি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। তখন আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে আমি আওয়ামী লীগের কোনো পদ-পদবীতে ছিলাম না। আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য রাতের আঁধারে পোস্টার লাগিয়ে মিথ্যা গুজব ছড়ানো হয়েছে। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানা ইনচার্জ হারুন অর রশিদ জানান, এই ঘটনার বিষয়ে আমি এখনও কিছু জানি না। তবে, যদি লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৫নং বানা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা পোস্টার ছড়ানোর অভিযোগটি এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি করেছে। চেয়ারম্যানের নাম ও ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা গুজব ছড়ানোর জন্য কেউ বা কারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই পোস্টারগুলো ছড়িয়ে থাকতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন যদি লিখিত অভিযোগ পায়, তবে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়েছে।
এটি একটি গুরুতর অভিযোগ এবং এই ধরনের কর্মকাণ্ড স্থানীয় জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, যা আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধান হওয়া জরুরি।

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com