শহিদুল ইসলাম
দৈনিক বাংলার নিউজ( ফরিদপুর প্রতিনিধি)
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক এস এ কে আজাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও জালিয়াতির অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, সাবেক পৌর মেয়র আলী আকসাদ (ঝন্টু )।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) দুপুর ১২:০০ টায় সদর বাজারের একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে আলী আকসাদ ঝন্টু বলেন, আলফাডাঙ্গা উপজেলার পানাইল এলাকার বাসিন্দা এস এ কে আজাদ আমার স্ত্রীর নিকট দুইটা দলিল মূলে এক কোটি টাকায় ৩.৭৫ শতাংশ জমি বিক্রয় করেছেন। যা নগদ ২৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করি এবং বাকী ৭৫ লক্ষ টাকা তারিখ বিহীন আমার নিজ নামে পরিচালিত একটি চেক প্রদান করি। কথা ছিল, আমি নগদ টাকা পরিশোধ করে দিলে চেকটি ফেরত দিবেন। পরবর্তীতে আমি সমূদয় অর্থ পরিশোধ করে দিলেও সে আমাকে চেকটি ফেরত দিতে বিভিন্ন বাহানা করে। চেকটি তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে জমা দিয়ে ডিসঅনার করাতে পারে বিধায় ব্যাংকের ম্যানেজারের নিকট আবেদন করে চেকটি স্টপ পেমেন্ট করি। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে চেকটি ফেরত পাওয়ার জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও কোন জবাব দেয়নি। বাধ্য হয়ে তার বিরুদ্ধে চেক উদ্ধারের স্বার্থে আদালতে মামলা দায়ের করি।
এস এ কে আজাদের বিরুদ্ধে সীমাহীন জালিয়াতির অভিযোগ উল্লেখ করে আলী আকসাদ ঝন্টু বলেন, অভিযুক্ত আজাদ সাহেব আমার নিকট রাজধানীর শ্যামলীতে একটি বহুতল ভবনের ২য় তলার ৪ টি ইউনিট ও পার্শ্ববর্তী কাশিয়ানী উপজেলার পিঙ্গলিয়া মৌজায় ৫১ শতাংশ জমি বিক্রয়ের শর্তে, আলোচনা সাপেক্ষে তিন কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা বন্দবস্ত হয়। পরে আমার নিকট বায়না স্বরূপ নগদ দুই কোটি ষাট লক্ষ টাকা নেয়। কিন্তু যথাসময়ে আমাকে দলিল রেজিস্ট্রি করে দিতে না পারায় ওই টাকার বিপরীতে সিকিউরিটি হিসেবে দুই কোটি ষাট লক্ষ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। পরবর্তীতে টাকা উত্তোলনের জন্য চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে ডিসঅনার হয়ে ফেরত আসে্। এই চেকের বিষয়ে এস এ কে আজাদের স্বীকারোক্তিমূলক অডিও প্রমাণসহ স্থানীয় স্বাক্ষী প্রমাণ আছে বলে জানান আলী আকসাদ ঝন্টু।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টু বলেন, গত ৪ জানুয়ারী এস এ কে আজাদ আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে নানা রকমের মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক কাহিনী সাজিয়ে মনগড়া বক্তব্য প্রদান করেছেন। যা আমার জন্য বিব্রতকর ও সম্মান হানি করেছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুর ও আলফাডাঙ্গার বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply