শহিদুল ইসলাম
দৈনিক বাংলার নিউজ :ফরিদপুর প্রতিনিধি।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান সায়াদ আহমেদ। কোটা সংস্কার করন আন্দোলনে অংশ নিয়ে এক সাহসীকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ঢাকার খিলগাঁও মডেল কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষের ছাত্র।
গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌর এলাকার উপজেলা রোডে শ্রীরামপুর। তাঁর পিতা তাবলীগ জামাতের আমির মরহুম ফিরোজ আহাম্মেদ, মাতা বুড়াইচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাফুজা বেগম। তিনি রাজনৈতিক পরিবার সন্তান, তার বাবা চাচা ছিলেন আদর্শ রাজনীতিবিদ। সেই সূত্র ধরে সায়াদ আহমেদ শৈশব থেকেই সাহসী এক যোদ্ধা। কোটা আন্দোলনের শুরু থেকেই যুক্ত হয়ে সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে, আন্দোলনের চড়াই-উৎরাই পার হতে ও মাঝে মধ্যে তাকে জীবনের ঝুঁকি নিতে হযেছে।
কিন্তু অকুতোভয় যোদ্ধার মত নিজ লক্ষ্য থেকে এক বারের জন্যও পিছু হট্টেননি সায়াদ। জীবন বাজি রেখে সহযোদ্ধাদের নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান জুলাই আগস্ট এর এই সৈনিক সায়াদ আহমেদ।
১৮ জুলাই রামপুরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘বিক্ষোভ মিছিল’ কর্মসূচিতে, জীবনের মায়া ত্যাগ করে অংশগ্রহণ করে সায়াদ ও তার সহপাঠী আরো তিনজন।
এ সময় মিছিল চলাকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিজিপি ও পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে । এ ঘটনায় শিক্ষার্থী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ আহত হয়। আন্দোলনকারীদের মধ্যে সেদিন আলফাডাঙ্গা উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী সায়াদ আহমেদও আহত হন। সে সময় তার নাকে, বাম হাতে, মুখের ডান পাশ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষতবিক্ষত হয়।
শেষে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগ করার, এমন খবরে সায়াদ আহমেদের নেতৃত্বে, তার নিজ উপজেলা আলফাডাঙ্গাতে আনন্দ মিছিল হয়।
সংবাদকর্মীরা সেদিনের আন্দোলন সম্পর্কে তার নিকট জানতে চাইলে সায়াদ বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অপরিণামদর্শিতার জন্য আন্দোলনটি রক্তক্ষয়ী রূপ নেয় এবং সেই আন্দোলনে আবু সাঈদ, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মাহমুদুল হাসান রিজভীসহ দুই শতাধিক প্রাণের বলিদান হয়। তার ভিতর থেকে আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।
Leave a Reply