নরসিংদী প্রতিনিধি :
নরসিংদী জেলা এই ঈদুল আযহার উপলক্ষে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এক বিরাট উদ্যোগ নিয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ পদক্ষেপ, যার মধ্যে অন্যতম ড্রোন প্রযুক্তির মাধ্যমে পুরো জেলা মনিটরিং করা। বিশেষ করে মহাসড়ক, অলিগলি, কোরবানির হাট এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য এ উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়েছে।
এবারের ঈদে যেন কোন ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা বা নিরাপত্তাজনিত সমস্যা না ঘটে, সেজন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছেন নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান। তিনি জানান, ‘‘ড্রোন মনিটরিং সেল’’ তৈরি করা হয়েছে, যা পুরো জেলা পর্যবেক্ষণ করবে। ড্রোনগুলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে পুরো জেলার বিভিন্ন স্থানে উড়বে এবং যে কোনো সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক করবে। এর মাধ্যমে শুধুমাত্র মহাসড়ক নয়, অলিগলি এবং কোরবানির হাটগুলোরও মনিটরিং করা হবে।
এছাড়া, নিরাপত্তার দিক থেকে অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, নরসিংদী শহরের প্রবেশপথে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন, এবং পুলিশের বিশেষ টিমের টহল ব্যবস্থা। পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে ঈদ উদযাপন যেন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়, সেটি নিশ্চিত করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কোরবানির হাটগুলোর উপর। হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এছাড়া, সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এবং অন্যান্য যানবাহনের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এছাড়া, পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান জানিয়েছেন, ঈদের সময় জেলা থেকে বাহিরে যাওয়ার জন্য যারা মহাসড়ক ব্যবহার করবেন, তাদেরও বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করা হবে যাতে কোনো ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।
বিশেষভাবে বলা যায়, ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার এ জেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরো শক্তিশালী এবং কার্যকরী করে তুলেছে। এটি শুধু সরাসরি মনিটরিং সিস্টেমই নয়, বরং এর মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আরও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এভাবে নরসিংদী জেলা পুলিশ এবারের ঈদে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ, এবং এ পদক্ষেপগুলো তাদের নিরলস পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে ঈদের আনন্দ যাতে কোনভাবে ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করবে। এবারের ঈদ উৎসব নিয়ে সকলেই উজ্জীবিত, এবং সবার নিরাপত্তা নিয়ে যে সুনিশ্চিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তা এই জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে এক নতুন আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি করেছে।
######
Leave a Reply