আজ ৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

টিং টং শব্দে ঈদুল আযহায় কোরবানির ছুরি চাকু তৈরীতে ব‍্যস্ত কামার পল্লী।

শিবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ঃপ্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ৭ জুন ২০২৫  আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে ছুরি-চাকুসহ বিভিন্ন ধারালো হাতিয়ার তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিবগঞ্জে কামাররা। ঈদের মাত্র আর কয়েক দিন বাকি। এজন্য পশু কোরবানি করার জন্য নতুন ধারালো হাতিয়ার কিনছেন ও শেষবারের মতো তাদের ধারালো হাতিয়ারগুলো শান দিয়ে নিচ্ছেন।
এ সব ধারালো হাতিয়ারগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, দা, ছুরি, চাকু, চাপ্পর, কুড়াল, কানতাই, হাসুয়াসহ আরো অনেক যন্ত্রপাতি। এ কারণে এখন মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন কামারের দোকানগুলোতে। গ্রাহকের  চাপে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। একটুখানি অবসরের সময় যেন নেই তাদের হাতে। সবসময় কাজ আর কাজ। কাজের মধ্য দিয়েই সময় কাটছে কামারদের।
সরেজমিনে গিয়ে মোবারকপুর ইউনিয়নের উপটোলা গ্রামের  শ্রী নিমায়ের কর্মকার ও তার বাবা শ্রী দিলীপ কর্মকার  সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের কর্মব্যস্ততা সম্পর্কে। অন্যান্য বছরের চাইতে এবার কাজ কম যদি আম ভাঙ্গা ভাঙ্গির ভিতরে হলে তাহলে ব্যবসাটি আরো ভালো হতো অন্যান্য বছর ২ লক্ষ ৫০০০০ হাজার  বেচাকেনা করি। কিন্তু এবছরে ১ লক্ষ টাকা আইডিয়া করা যাচ্ছে। তাতে খরচ হবে কয়লা বিদ্যুৎ মিলে ৩০০০০ তাতে আশা করা যাচ্ছে সত্তর হাজার টাকা সিজিলে টিকবে।
মোনাকষা পাঁচ চক্কা এলাকার উপেন নামের এক কামারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঈদের সময় ছাড়া অন্য সময় গুলোতে তেমন একটা কাজ থাকেনা বললেই চলে। দিনের বেশির ভাগ সময় বসেই অলস সময় কাটাতে হয়। ঈদুল আযহার সময় হলে নতুন দা-ছুরিসহ ধারালো হাতিয়ার তৈরি ও পুরাতন দা-ছুরিগুলো শান দিয়ে নেয়ার জন্য কোরবানি দিতে মনস্থির করা লোকজন দোকানে বেশি আসেন। অন্য সময় কাজ না থাকার কারণে আয়-রোজগারও বেশি হয় না। সেই জন্য সারা বছর সংসারে অভাব-অনটন থাকে। এখন কাজ বেশি হচ্ছে আয়ও বেড়েছে।
শুধু এসব কামারদের দোকান নয়, শিবগঞ্জ অনেক দোকান ঘুরেই তাদের কর্ম ব্যস্ততার চিত্র দেখা গেছে। সবাই এখন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।  আসন্ন ঈদ উপলক্ষে  কাজ বেড়ে যাওয়ায় আয় বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তারাও স্বীকার করেন।
এভাবেই শিবগঞ্জ উপজেলার কামাররা তাদের কর্মব্যস্ততার কথা জানিয়েছেন। বছরের অন্য সময়গুলোতে বসে থাকার কারণে তাদের যে লোকসান হয় তা তারা ঈদের মৌসুমে বেশি কাজ করে পুষিয়ে নিতে পারছেন। এখন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোরবানি করার জন্য শেষ প্রস্তুতি হিসেবে এ কাজে ব্যবহৃত দা, ছুরি, চাপ্পর, হাসুয়া, কান্তাই, চাকুসহ আরো অনেক হাতিয়ার শান দিয়ে নিচ্ছেন। এজন্যই কামারের দোকানগুলোতে কর্মব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
তবে অন্যবারের তুলনায় এবার হাতিয়ার তৈরিতে বেশি টাকা ও মজুরি বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কামাররা অবশ্য তা অস্বীকার করে বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার লোহার দাম কিছুটা বেড়েছে। কোনো কিছুর দাম আগের মতো নেই। সবকিছুর দাম বাড়ায় কিছু টাকা বেশি নিতে হচ্ছে। এটা বেশি নয়। স্বাভাবিক দাম ও মজুরি নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত মজুরি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com