আজ ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আশুলিয়া থানায় আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাঁধা প্রদানকারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ-দৈনিক বাংলার নিউজ

 

বাহাউদ্দীন তালুকদার :
আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাঁধা প্রদানকারী চক্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর, আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেল পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা, ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জ সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন এক ভুক্তভোগী। তিনি ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার আউকপাড়া ব্লক-এ, রোড-৩০, রোকসানা বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ খোকনের স্ত্রী মোছাঃ লিপি বেগম।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ১. জাহানারা বেগম, (৪৮), স্বামী সিরাজ মিয়া, ২. খোকন (৫০), পিতা মৃত জামাল উদ্দিন, ৩. হালিম (৫১), পিতা মৃত মর্তুজা আলী, ৪. বিশা (৪৯), পিতা মৃত সিদ্দিকুর রহমান, সর্বসাং- আউকপাড়া, আদর্শ গ্রাম, আনার কলি, আশুলিয়া, ঢাকা। পূর্ব শত্রুতার জেরে ধর্ষণ মামলার আসামিদের রক্ষা করা সহজ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে অপহরণের সহায়তাসহ ধর্ষণ মামলা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে সদা তৎপর রয়েছে। মামলার ও নিখোঁজ জিডি নং- ১৫৩৯, তারিখ-১৬/০৩/২২, তদন্তকারী কর্মকর্তার বাদী পক্ষের নিকট টপ ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে আসামি পক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ও আসামিপক্ষের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ খেয়ে ১নং আসামী ইমরান সিকদার গেদাকে গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত রহিয়াছে। সাথে সাথে ধর্ষণ মামলার ভিকটিম ধর্ষিতা গত ২৫/০২/২২ থেকে নিখোঁজ রয়েছে। এ সংক্রান্ত জিডি করতে গেলে আইও খুঁজে দেখেন বলে বলে ঘুরাতে থাকে। অবশেষে ১৬/০৩/২২ তারিখ জিডি নং ১৫৩৯ দাখিল করি। উক্ত জিডির আইও দেওয়া হয় ধর্ষণ মামলার আইও আল মামুন’কে দেশের একজন নাগরিক এক মাসের অধিক সময় পর্যন্ত নিখোঁজ থাকা আর থানা পুলিশের উদাসীনতা ও অনীহা প্রদর্শন ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে মামলার আইও পরিবর্তনসহ আমার মেয়েকে উদ্ধার করার ক্ষেত্রে গৃহীত ব্যবস্থা গ্রহণসহ জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হিসেবে আপনার নিকট আমার এই প্রার্থনা। উল্লেখ্য যে, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার ধর্ষণ মামলা নং-২৯ তারিখ ১৩/০৯/২১ ধারা-৭/৯(১)/৩০,২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন ২০০৩ অপহরণ করতঃ ধর্ষণ ও সহায়তা করার অপরাধ দায়ের করতে গিয়ে থানার আইও আল মামুন বিপি নং ৯২১৯২২৪২৯৩ কর্তৃক নাজেহাল শিকার হই। আইও সর্বদা বলে আসামি পক্ষের হাত অনেক লম্বা।আমি তাদের সাথে পারব না। আমার টাকা পয়সা নাই মর্মে আমাকে আপস করার জন্য চাপ প্রয়োগ করিয়া আসিতেছে।

ধর্ষিতা নিখোঁজ জিডির আইও ও ধর্ষণ মামলার আইও এস আই আল মামুন অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন, ধর্ষণ মামলার চারজন আসামির মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। ১নং আসামী ইমরান সিকদার গেদাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি। নিখোঁজের বিষয় তিনি বলেন ধর্ষিতা মেয়ে একজন প্রতিবন্ধী সে আগেও বাসা থেকে একা একা বাহির হয়ে গেছে। মেয়ের কাছে মোবাইল আছে কিন্তু সিম নেই এর জন্য তাকে খুঁজে পেতে কষ্ট হচ্ছে। এ মামলার শুরু থেকে আমি যে যে কাজ করেছি সব ডকুমেন্টস আমার কাছে আছে। এবিষয়ে আমার কোনো গাফিলতি নেই।

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com