এস এম আব্দুল্লাহ,স্টাফ রিপোর্টারঃ আসন্ন ঈদের কেনাকাটায় শার্শার বাগআঁচড়া বিপণী বিতানগুলো জমে উঠেছে নানা শ্রেণির ক্রেতাদের সমাগমে।
মহামারী করোনাসহ নানা প্রতিকুলতায় দু’বছর ‘ব্যবসায়িক লোকসানের’ পর এবার ‘ভালো ব্যবসার’ আশায় নতুন নতুন ডিজাইনের বাহারী পোশাকে বিপনী বিতানগুলো সাজানো হয়েছে।
বেনাপোল,নাভারন,শার্শা ও বাগআঁচড়ায় একইভাবে চলছে ঈদের কেনাকাটা।
সরেজমিনে শাহজাহান মার্কেট, ডাব্লু মার্কেট, হাজি মোহাম্মদ উল্লাহ মার্কেট, হাইস্কুল মার্কেট, হিরা সুপার মার্কেট,নিত্যহাট, নাভারনের নিউ মার্কেট, তালেব প্লাজা, সোনালী মার্কেট, বাগআঁচড়ার নিউ মার্কেট,আঁখি টাওয়ার, সুফিয়া প্লাজা,বাবু মার্কেটের শপিংমল সহ ফুটপাতের দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবারের ঈদে বাজার মাতাচ্ছে নতুন কালেকশন কাঁচা বাদাম, পুস্পা,সারারা,জারারা ও রেডি শাড়ি।
ক্রেতারা বলছেন, তুলনামূলকভাবে এবার সকল পোষাকের দাম বাড়লেও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।
দুই মেয়েকে নিয়ে ১৫ কিলোমিটার দূরের উত্তর বারোপোতা গ্রাম থেকে গৃহবধূ শামীমা আক্তার বিউটি (৪০) নাভারন এসেছেন ঈদের কেনাকাটা করতে।
বিউটি নামে ক্রেতা বলেন, “ইচ্ছে করেই বাচ্চাদের সংগে আনিছি।তাদের পছন্দ মতো পোশাক কেনার জন্য। প্রতিবছর রোজার শুরুতেই কেনাকাটা করে ফেলি। তবে এবার একটু দেরি হয়ে গেল। সব ধরনের কাপড়ের দাম গেল বছরের চাইতে এবার একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে।”
বেনাপোলের লালমিয়া সুপার মার্কেটের ‘আর ফ্যাশন কর্নারের’ মালিক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, “ঈদ বাজার দুদিনেই জমজমাট হয়ে উঠেছে।বেচাবিক্রি মোটামুটি ভাল।ঈদ যত নিকটে আসছে ক্রেতাদের ভিড় তত বাড়ছে।”
বাগআঁচড়া বাজারে কথা হয় জুলি আক্তারের সাথে।প্রচন্ড গরমে ঘুরতে অস্বস্তি বোধ করছেন সাথে থাকা দুই ছেলেকে নিয়ে।
জুলি বলেন,বড় ছেলের শার্ট ও প্যান্ট কিনেছি।ছোট্টার পছন্দ হচ্ছে না।তাই এ দোকান ওদোকান ঘুরে বেড়াচ্ছি।
এবারের ঈদ বাজারে ক্রেতাদের জিন্স প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্ট, টি-শার্ট, শর্ট-শার্ট, পাঞ্জাবি ও থ্রি-পিসের চাহিদা রয়েছে।
বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, লেহেঙ্গা, বুটিকস, চোষা, আড়ং, জিপসি, দেশীয় সুতি থ্রি-পিস, ভারতীয় থ্রী পিস, সারারা-জারারা এবারের মূল আকর্ষণ।
উপজেলার রাজাপুর গ্রামের জেসমিন আক্তার মেয়ে অনামিকা আফরিনের জন্য ঈদের পোষাক কিনতে বাগআঁচড়া বাজারে এসেছেন।অন্তত দশ দোকান ঘোরার পর একটি সারারা থ্রি পিস পছন্দ হয়েছে মেয়ের।
জেসমিন আক্তার বলেন,এ বছর সারারা ও জারার নামের থ্রি পিস ও টু-পিস মেয়েদের মাথা খেয়েছে!তাদের বায়না মেটাতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।দাম অনেক বেশি।একটি সারারা থ্রি পিস সাড়ে ৫ হাজার টাকায় কিনতে হল।
বাগআঁচড়া বাজারের কাপুড়িয়া পট্রির ‘সততা বস্ত্রালয়’ এর মালিক মিজানুর রহমান “দৈনিক প্রতিদিনের কথাকে “বলেন,এবারের ঈদ বাজারে কাঁচা বাদাম থ্রী পিসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সবাই এসে নতুন পোষাক খোঁজে।কাঁচা বাদাম,সারারা,জারারা নতুন পোষাক হওয়ায় এগুলোর চাহিদা ও বেচাবিক্রিও বেশ ভালো।
“কাঁচা বাদাম থ্রি পিস ও ফতুয়ার প্রিন্ট প্রায় কাছাকাছি। এসব কাপড়ের বেশিরভাগ জুড়েই বাদামের ছবি স্ক্রিনপ্রিন্ট করা।”
এদিকে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও কেনাকাটা জমে উঠেছে।মূল্য নাগালের মধ্যে থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষগুলো ঈদের কেনাকাটা সারছে এ দোকানগুলোতেই।
ঈদের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন করতে এবং ক্রেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে বেনাপোল,শার্শা,নাভারন ও বাগআঁচড়া বাজারে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানান যশোরের নাভারন সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান।
Leave a Reply