বিএস বিদ্যুৎ
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
ফিতরা কত টাকা ২০২২। যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতরের দিনে নিত্য প্রয়োজনাতিরিক্ত ও ক্ষণমুক্ত নেসাব পরিমাণ যে কোন ধরণের সম্পদের মালিক হয়, তার ওপর নিজের পক্ষ…
ফিতরা কত টাকা ২০২২। যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতরের দিনে নিত্য প্রয়োজনাতিরিক্ত ও ক্ষণমুক্ত নেসাব পরিমাণ যে কোন ধরণের সম্পদের মালিক হয়, তার ওপর নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব।
ফিতরার পরিমাণ ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম গম/আটা বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম খেজুর/যব/কিসমিস/পনির অথবা যে কোনো একটির মূল্য।
নেসাব পরিমাণ সম্পদ কত? নিসাব পরিমাণ সম্পদ হচ্ছে, সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের নগদ অর্থ ও ব্যবসাপণ্য সম্পত্তি। কোনো ব্যক্তি এই পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে, তাঁর নিজের ও পরিবারের সবার পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় কর প্রতি ওয়াজিব।
ফিতরা কত টাকা ২০২২
গত ৯ই এপ্রিল, শনিবার সকাল ১১ টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় ২০২২ সালের ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। এ বছর ফিতরা জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
২০২২ সালের সাদাকাতুল ফিতর-এর হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২২ সালের ফিতরার পরিমাণ
ইসলামি শরীয়াহ মতে, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোন একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়।
উন্নতমানের আটা বা গম দ্বারা ফিতরা আদায় করলে অর্ধ স্বা‘ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৭৫ টাকা প্রদান করতে হবে।
যব দ্বারা আদায় করলে এক স্বা‘ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৩০০ টাকা।
কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক স্বা‘ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১,৪২০ টাকা।
খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক স্বা‘ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১৬৫০ টাকা।
পনির দ্বারা আদায় করলে এক স্বা‘ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২৩১০ টাকা ফিতরা প্রদান করতে হবে।
বিষয় ২০২২ সালের ফিতরার পরিমাণ
পণ্যের নাম পরিমাণ মূল্য
আটা বা গম ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বাজার মূল্য ৭৫ টাকা
যব ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বাজার মূল্য ৩০০ টাকা
কিসমিস ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বাজার মূল্য ১৪২০ টাকা।
খেজুর ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বাজার মূল্য ১৬৫০ টাকা।
পনির ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বাজার মূল্য ২৩১০ টাকা
দেশের সকল বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা/গম, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের বাজার মুল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মুসলমানগণ নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী উপরোক্ত পণ্যগুলোর যে কোন একটি পণ্য বা এর বাজার মুল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উপরোক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মুল্যের তারতম্য রয়েছে। তদনুযায়ী স্থানীয় মুল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।
এক সা পরিমাণ কত কেজি?
মাঝারি দেহের অধিকারী মানুষের হাতের চার আজলা এক ‘সা’ হয়। মানে, দুই হাতের কব্জি একত্র করে চার খাবরিতে যে পরিমাণ খাবার উঠে তাই এক ‘সা’। আরবিতে صاع ‘সা’ নির্দিষ্ট পরিমাপের একটি পাত্রকে বলা হয়, যার দ্বারা দানা জাতীয় শস্য মাপা হয়।
একাধিক শস্য যদি এক-‘সা’ এক-‘সা’ মেপে কিলোগ্রাম দিয়ে ওজন করা হয়, তাহলে এক শস্যের ওজন অপর শস্যের ওজন থেকে কম-বেশী হবে।
ফিতরার ক্ষেত্রে ওয়াজিব হচ্ছে- এক স্বা‘ খাদ্য প্রদান করা। যে স্বা‘ বা পাত্র নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ব্যবহার করেছেন সে স্বা অনুযায়ী। সাধারণ মাপের দুই হাতের পরিপূর্ণ চার মুষ্ঠি এক স্বা‘কে পূর্ণ করে। মেট্রিক পদ্ধতির ওজনে এর পরিমাণ প্রায় ৩ কিলোগ্রাম। (যেমনটি আলক্বামূস ও অন্যান্য আরবী অভিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।)
যদি কোন মুসলিম চাউল বা দেশীয় কোন খাদ্যদ্রব্যের এক স্বা‘ দিয়ে ফিতরা আদায় করেন তবে তা জায়েয হবে; যদিওবা সে খাদ্যের কথা এই হাদিসে সরাসরি উল্লেখ না করা হয়ে থাকে? এটাই আলেমগণের দুইটি মতের মধ্যে বেশি শক্তিশালী। আর মেট্রিক পদ্ধতির ওজনের হিসাবে প্রায় ৩ কিলোগ্রাম দিলেও চলবে।
Leave a Reply