আজ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ছোট যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন”বালু খোকনের খুঁটিরজোর কোথায়-পর্ব-১-দৈনিক বাংলার নিউজ

নিরেন দাস,জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃ-

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় ছোট যমুনা নদীতে পয়েন্ট বাই পয়েন্টে কয়েকটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নাগের ডগায় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে দেখা যায় গেছে। এমন বালু উত্তোলনের ফলে ওই এলাকার অসহায় কৃষকেরা হাড়াচ্ছে শতশত তিন ফসলিসহ তাদের একালার বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক বেশকয়েক জন প্রভাবশালীদের যোগসাজশে সেখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলেও বালু ব্যবসায়ী খোকন মিঞা”হুমকি-ধমকির ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ বাধা বা প্রতিবাদ করতে ভয় বলেও এলাকাবাসীরা জানান।এমনকি তার বালুর ঘাটে সংবাদ সংগ্রহের জন্য কোন সংবাদ কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহে গেলে সংবাদ কর্মীদেরও সংবাদ সংগ্রহে বাঁধা দেয়াও হয় লাঞ্ছিত করার অভিযোগও পাওয়া গেলে।

এমন বেশকিছু অভিযোগের ভিক্তিতে সংবাদটির প্রতিবেদক জাতীয় সাংবাদিক উন্নয়ন সোসাইটি অব বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মপরিষদ সদস্য ও আক্কেলপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নিরেন দাস ও দৈনিক বর্তমান খবর পত্রিকার সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম নয়ন জীবনের মায়া ত্যাগ করে উক্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বালু ঘাটের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করতে বাঁধা প্রদান করেন বালু ব্যবসায়ী খোকন মিঞা ওরফে বালু খোকন বাহিনীরা। তবুও প্রতিবেদক তার ক্যামেরা ওপেন করে আর একজন সহকর্মীকে সাথে নিয়ে ওই বালুর ঘাটে গিয়ে দেখা যায় বালু উত্তোলনের ভয়ঙ্কর চিত্র। এ বালুর ঘাটের ভয়াবহতা সম্পর্কে অনেকেই জানালে তাদের কথা শোনে বিশ্বাস না হলেও তার সম্পর্কে কিন্তুু ঘটনাস্থলে দেখা যায় বালু খোকনের ভয়ঙ্কর তাণ্ডবের বাস্তব চিত্র।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা সেখানে বালু ব্যবসায়ী খোকন মিঞা ওরফে বালু খোকন দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে পাঁচবিবি উপজেলার ধনঞ্জী ইউনিয়নের বাগুয়ান গ্রামের শাখা ছোট যমুনা নদীতে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কোন কিছু তোয়াক্কা না করেই এবং স্থানী প্রশাসনসহ প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে নিয়মনীতি বহির্ভূত ভাবে নিষিদ্ধ ও অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রায় দেড় শত ফুট গভীরতার সৃষ্টি করে বালু উত্তোলন করছেন তিনি। যেসব চিত্রটি প্রতিবেদকের ক্যামেরায় বন্ধী হয় তার বালু উত্তোলনের ফলে নদীপার সংলগ্ন শত শত বিঘা তিন ফসলি আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।এবং এখনো যা বাঁকি রয়েছে সেইসব জমিও নদীগর্ভে যাচ্ছে।

বালুর ঘাট পরিদর্শন শেষে কে-এই-? বালু খোকন কোথায় তার খুঁটিরজোর এমন সন্ধানে নামে প্রতিবেদক তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালিয়ে জানতে পারে পাঁচবিবি উপজেলায় খোকন মিঞা গত ৬-৭ বছর আগে ৩ হাজার টাকার বেতনে বিভিন্ন ঠিকাদারের অধীনে নাইট গার্ডের চাকরি করতেন। কিন্তু বর্তমানে তার অধীনেই রয়েছে শতশত কর্মচারী মাত্র কয়েক বছরেই কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। আর টাকার গরমে যা ইচ্ছে তাই করছেন তিনি।

অনুসন্ধানে আরও জানা যা স্থানীয় জেলাসহ পাঁচবিবি উপজেলার বেশকয়েক জন প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় স্থানীয় কিছু বালু ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলার গাছ হয়েছেন গড়েছেন তিনি। বর্তমানে তার রয়েছে বিলাশ বহুল বাংল্লো বাড়ি,রাজকীয় গাড়ি-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ক্রয়কৃত সমাপ্তি। এমকি তিনি পাঁচবিবি পৌর সদরের থানার পশ্চিম পার্শ্বে পাঁচ মাথায় নিজস্ব চেম্বারে নিয়ন্ত্রণ করছেন। এক সময়ের নাইট গার্ড বর্তমানে বৃত্তবান ক্ষমতাধরের তালিকায় থাকায় তাই তার ভয়ে কেউ মুখ না খুললেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ-কয়েক জানান বালু খোকনের টাকার অভাব নেই,তার টাকার গরমে স্থানীয় প্রশাসনও নীরব থাকে। তিনি যে এমন ক্ষমতার অধিকারী যা ঘটনাস্থলে না গেলে সত্যিকারের এই বালু খোকনের ক্ষমতার রহস্য অজানায় রহস্যই রেয়ে যেতো।

অনুসন্ধান চলাকালে তার খুঁটিরজোর কোথায় এ সম্পর্কে জানতে প্রতিবেদন তার অনুসন্ধান চালাতেই বিভিন্ন ক্ষমতাধর রাজনৈতিক ব্যক্তিরা প্রতিবেদকের মুঠোফোনে কল দিয়ে ঘুষ দেয়ার কুপ্রস্তাব দেয়াসহ সংবাদ প্রকাশ না করতে বলেন এইসব ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের দ্বিতীয় নাম নম্বব প্রকাশ করা পর্বে প্রকাশ করা হবে।

শুধু তাই নয় তার বালু উত্তোলনের ফলে বালু বহনের শত শত ট্রাক্টর যাতায়াত করায় রাস্তা ঘাটেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। খানাখন্দকে ভরে গেছে রাস্তাঘাট। নদীর দুই তীরে ব্যাপক ভাঙনের ফলে বড় বড় জলাশয়ের সৃষ্টি হয়েছে। বালু বাণিজ্য করে খোকন মিঞা ও তার সহযোগিরা শূন্য থেকে কোটিপতি বনে গেছে। তাদের বেপরোয়া আচরণের ভয়ে নিরীহ এলাকাবাসীরা ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না।

এ ব্যাপারে বালু ব্যবসায়ী খোকন মিঞা জানান, আমি নদী সংলগ্ন এলাকায় ব্যক্তি মালিকানা জমি ক্রয় করে বালু উত্তোলন করি। আমি সরকারিভাবে কোনো বালুরঘাট কিংবা নদী ইজারা নেয়নি।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নিজেই অস্বীকার করেছেন।

ধনঞ্জী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অসুস্থ থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল জানান,এই বালু খোকনের ক্ষমতার প্রভাব একমাত্র আপনার সাংবাদিক ভাইয়েরাই পারবেন। তিনি আরও বলেন এ বালু খোকনের অত্যাচারের এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

পরে বিষয়টি নিয়ে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.বরমান হোসেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমি কি কখনো অবৈধ ভাবে বালুর উত্তোলনের অনুমতি দিতে পারি। ওই গ্রামে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি শুনেছি। তারা কিভাবে বালু তুলছে, নদীর ঘাট কিংবা সরকারি জমি ইজারা নিয়েছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বলে নির্বাহী অফিসার কোন প্রকার তদন্ত বা বালু ঘাট পরিদর্শন করেননি। বিস্তারিত দ্বিতীয় পর্বে আসছে——-

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com