আজ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গরীবের জন্য কাঁদে যে প্রাণ

মোঃ সেতাউর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জঃ
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য বিধাতার সৃষ্টিকুল থেকে বাস্তবতার আলোকে গুণীজনদের প্রবাদ বাক্যের আলোচ্ছটা পৃথিবীজুড়ে। সেই আলোয় আলোকিত করে রেখেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলাকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সুযোগ্য সন্তান। ছোট বেলা থেকেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অভ্যাসটা আজ নেশায় পরিনত হয়েছে। নিজেকে উজাড় করে মেলে ধরেছেন মানুষের জন্য। ছুটে চলেছেন অনবরত জন কল্যাণে। সৈয়দ পরিবারের অর্থায়নে গড়েতোলা স্বেচ্ছাসবী প্রতিষ্ঠান জিকে ফাউন্ডেশন শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষ লক্ষ অসহায় দুস্থ মানুষের হাতে সহায়তা তুলে দিয়েছে। জিকে অর্থায়নে অগণিত মানুষের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। এমনকি উচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার তথ্য মিলেছে অনুসন্ধানে।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম শিক্ষকতার পাশাপাশি মানুষের দুঃখ কষ্টে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে গিয়ে নেশায় পরিনত হয় মানবসেবা। এক সময় শিক্ষকতা ছেড়ে পুরোপুরি মানব কল্যাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে কোন ধরণের বদনাম আসেনি বরং দিনে দিনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। হয়ে উঠেছেন সর্বস্তরের মানুষের প্রিয়। জনসাধারণের সাথে আলাপচারিতায় শোনা গেল সৈয়দ পরিবারের সদস্যরা অতীতের কথা মনে রেখে মানুষকে সহযোগিতা করতে কার্পন্যতা করে না। এক সময় যখন মানুষের কষ্টে দিন কাটছিল, যে সময় মানুষ এক মুঠো ভাতের জন্য কষ্টে দিন পার করতো সে সময় অসহায়দের পাশে নিয়ে এক মুঠো ভাত ভাগাভাগি করে খেয়েছেন। এক কাপড়ে ঘুমিয়ে রাত পার করেছেন। পরিবারের আদর্শিক শিক্ষা মানুষকে আপন করতে শিখিয়েছে।
করোনা মহামারিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে স্বপরিবারে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও থেমে থাকেননি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে মাস্ক পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে বেশ সফলতা অর্জন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। খআদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার প্রতিটি দরিদ্র পরিবারের লোকজনের হাতে যাতায়াত ভাড়া পর্যন্ত তুলে দিয়েছে একটি পয়সাও খরচ হয়নি তাঁদের। সরকারি সাহায্য সহযোগিতার পাশাপাশি জিকে ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে অগণিত লোককে খাদ্য, বস্ত্র, ঔষধ সহযোগিতা করে এক নজির স্থাপন করে।
এইসব সহযোগিতা করে থেমে থাকেননি তিনি। প্রতিবন্ধীর ভরণ-পোষণ, চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণ, অসহায় পরিবারের সন্তানদের পড়ালেখার খরচ বহন করে আসছে সৈয়দ পরিবার। অনেকটা থমকে যাওয়া শিবগঞ্জ উপজেলার ক্রীড়াঙ্গনকে প্রানোজ্জল করে তুলেছেন। কথায় নয় কাজে প্রমাণ করেছেন। সরবরাহ করেছেন খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। যুবকেরা প্রাণ ফিরে পেয়েছে বাজে সময় নষ্ট না করে মাঠে ফিরে এসেছে অনেকেই।
রাজনীতির মাঠে নিজেকে মেলে ধরেছেন তিনি। দলের ক্রান্তিকালে জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাজপথ দখল করে রাখতেন। নেতাকর্মীদের আগলে রেখে অসহযোগ আন্দোলনের সময় বিরোধী শক্তির সকল কর্মসূচীর বিপরীতে ছিলেন অনড়। দখল করে রেখেছিলেন রাজপথ। প্রতিটি নেতাকর্মীর সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন। ভাগিদার হয়েছেন তাঁদের দুঃখ কষ্টের। ফলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে সবার কাছে। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন সবাইকে আপন করে নিয়ে। ফলশ্রুতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামের পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখে, অনায়াসে মনের সুখ দুঃখের কথাগুলো খোলামেলা বলে। সবার কথাগুলো আন্তরিকতার সাথে কথাগুলো শুনে পাশে দাঁড়ান এই নেতা।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম কখনও নিজের সুখের কথা না ভেবে অসহায় মানুষের মুখে শান্তির হাসিটুকু দেখতে পেলেই আসল সুখ বলে মনে করেন তিনি। তিনি চান শিবগঞ্জ উপজেলায় শান্তির পায়রা উড়িয়ে মড়েল উপজেলা উপহার দিতে। কাজ করে যাচ্ছেন এমন স্বপ্নকে বুকে আগলে নিয়ে। জীবে দয়া করিবে যেজন, সেজন সেবিচে ঈশ্বর এমন পঙ্কতিটুকু উজ্জীবিত করে তুলেছে এই মানবতার সেবককে। তিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন সৈয়দ পরিবারের কৃতি যোগ্য সন্তান সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ