নামিদামি কোম্পানীর প্যাকেটে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধুলাবালি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে গো-খাদ্য,এদিকে তৈরির অপরাধে একটি ভেজাল কারখানাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রাণী সম্পদের কর্মকর্তা ও নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে আতাহার এলাকার ভেজাল গো-খাদ্য উৎপাদনকারি প্রতিষ্টান মেসার্স হিমেল ট্রেডার্স কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজেস্ট্রিট আবদুল্লাহ আল মামুন,জেলা ভ্যাটেনারী কর্মকর্তা ডা.মো.আক্তারুজ্জামানসহ জেলা প্রানী সম্পদ কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
এর আগে গত চার এপ্রিল দৈনিক খবরের ডাকে নামিদামি কোম্পানীর প্যাকেটে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধুলাবালি মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে গো-খাদ্য শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়।এরপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তারা আগামী দিনেও অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের ঘোষণা দেন ঔ সব ভেজার অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় একটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেজাল ও মানহীন পশু খাদ্য তৈরি করছে। এসব খাদ্যে প্রয়োজনীয় উপকরণের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে মেয়াদ উর্ত্তীণ আটা,বালুৃমাটি ও সিরামিকসের ধুলা। পরে নামিদামি কোম্পানির সিল দেওয়া বস্তায় ভরে বাজারজাত করণ করা হচ্ছে। ফলে ভেজাল খাদ্য খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদি পশু। সদর উপজেলার আতাহার,নায়াগোলা, বালুগ্রাম,নয়ানগর,এরশাদনগর,দক্ষিন শহর এলাকায় অন্তত অর্ধশতাধিক গোডাউনে পশু খাদ্য তৈরির উপাদান ডিওআরবি ও রাইস ব্রানে মেশানো হচ্ছে সিরামিকসের ধুলা,বালু ও ডলোচুন। এসব অবৈধ গোডাউনে ভেজাল গো খাদ্য তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষ করে হিমেল ট্রেডার্সের মালিক ওয়াহিদুজ্জামান হিমেল নিজ প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবত ভেজাল গো-খাদ্য তৈরি করে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় খামারিদের প্রথমে নজরে আসে। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
Leave a Reply